কিছুদিন আগে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একটি ভ্যান কিনেছিলেন। সেই ভ্যান চালিয়ে বেশ ভালোই চলছিল ৯ সদস্যের পরিবার। কিন্তু সেই ভ্যান চুরি হওয়ায় খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন। এ ঘটনায় অনেকটাই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তিনি। বলছিলাম লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্ব সাড়ডুবির ভ্যানচালক মঈনুল ইসলামের (৬৫) কথা।

মঈনুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (৩০ জুলাই) উপজেলার বড়খাতা কেরামতিয়া বড় মসজিদে (ভাঙ্গা মসজিদ) অটোভ্যান রেখে নামাজ পড়তে যান। ফিরে এসে দেখেন তার ভ্যানটি নেই। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ভ্যানটি আর ফিরে পাননি। এ ঘটনায় রোববার (১ আগস্ট) দুপুরে মঈনুল ইসলাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

জানা গেছে, ৯ সদস্যের পরিবার মঈনুল ইসলামের। চার শতকের বসতভিটে ছাড়া আর কোনো জমি নেই তার। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কেনা অটোভ্যানের আয়ে চলত সংসার। শুক্রবার সেই অটোভ্যানটি চুরি হয়ে যায়।

ভ্যানচালক মঈনুল ইসলাম জানান, ব্র্যাক এনজিও থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তিনি অটোভ্যানটি কেনেন। অটোভ্যান চালিয়ে যা পেতেন তা দিয়ে কিস্তি দিতেন ও সংসার চালাতেন। এখন সেটাও হচ্ছে না বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুম আলী বলেন, মঈনুল অত্যন্ত গরিব মানুষ। ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন। শুনেছি তার উপার্জনের একমাত্র সম্বল অটোভ্যানটি চুরি হয়ে গেছে। এ বিষয়ে সমাজের বিত্তবানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, মঈনুল ইসলাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমরা ভ্যানটি উদ্ধারের চেষ্টা করছি।

উল্লেখ্য, কেউ ভ্যানের সন্ধান পেলে অথবা মঈনুল ইসলামকে সাহায্য করতে চাইলে ০১৩১১৬৮১৬৮৩ অথবা ০১৩১১৯৪৪৬২৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।

নিয়াজ আহমেদ সিপন/এসপি