পাবনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ১২৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। রোববার (০১ আগস্ট) দুপুর থেকে সোমবার (০২ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত সময়ে তারা মারা যান।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ সোহেল রানা জানান, এক দিনে হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে মারা গেছেন ৯ জন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন পাঁচজন। এ ছাড়া সদরে আরও তিনজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।

উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন- সদরের নুরপুরের রফিকুলের স্ত্রী রাফিয়া (২০), সাঁথিয়ার সুলতান মাহমুদের ছেলে আব্দুল ওহাব (৭৫), আতাইকুলার গৌরীপুরের আহমেদ প্রামানিকের ছেলে আমজাদ (৫৫), বেড়া উপজেলার মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী মনোয়ারা (৭০), সদরের ঘরনাগড়া গ্রামের আব্বাস আলীর স্ত্রী রুখসি (৬০), সুজানগরের ভিটাভিলার আব্দুল জাবেদ আলীর ছেলে আব্দুর রহমান (৬০), ঈশ্বরদীর পূর্বটেংরির আব্দুল জব্বার প্রামানিকের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম প্রামানিক (৭৮), সদরের হেমায়েতপুরের রাশিদা (৫৫)। 

জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি পূর্ণিমা ইসলামের স্বামী পান্না ইসলাম (৬৫), জয়পুরহাটের তিলকপুরের শাহেদ মন্ডলের ছেলে সিরাজুুল ইসলাম (৭০), সাংবাদিক মির্জা আজাদের বোন পারভীন মির্জা (৪৫), পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মু্ক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন (৭২)। 

এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনায় দুজন ও উপসর্গ নিয়ে তিনজন মারা গেছেন। তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। 

পাবনার সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা অংশু প্রতীম বিশ্বাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনার ৭৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের কোভিড ইউনিটের প্রধান চিকিৎসক ডা. সালেহ মোহাম্মদ আলী জানান, করোনা সংক্রমণের হার হ্রাস পাচ্ছে। পাশাপাশি রোগী ভর্তিও কমে গেছে। তবে গুরুতর অবস্থায় কিছু রোগী ভর্তি হয়েছিল। তাদের মধ্য করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ৯ জন মারা গেছেন।

রাকিব হাসনাত/এসপি