বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে না দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন করে মাথার চুল কেটে দেন স্বামী। অবশেষে রোববার (১ আগস্ট) স্বামীকে গ্ৰেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার (২ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গ্ৰেফতার সুহেল মিয়া মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হাসানপুর গ্রামের ইয়াজ মিয়ার ছেলে। আর সুহিনা বেগমের (২৩) বাবার বাড়ি রাজনগর উপজেলার চান্দভাগ গ্রামে।‌

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারের হাসাপুর গ্ৰামের সুহেল মিয়া তার স্ত্রী সুহিনাকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দেন। খবর পেয়ে সুহিনার স্বজনরা তাকে তিন দিন বন্দি অবস্থা থেকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সুহিনা বেগম গত ২৬ জুলাই সোমবার স্বামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। সোমবার প্রধান আসামি সুহেল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সুহিনা বেগম বলেন, ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হাসানপুর গ্রামের ইয়াজ মিয়ার ছেলে সুহেল মিয়ার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর সংসার সুখেরই ছিল। আমার কোলজুড়ে আসে এক কন্যাসন্তান। বছর তিনেক ধরে আমাকে মাঝেমধ্যে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। আমি তাকে টাকা দিতে পারিনি বলে আমার ওপর নির্যাতন চালায়।

তিনি বলেন, আমি আমার কোলের সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সবকিছু সহ্য করি নিই। তারপরও তিনি শুরু করেন মদ-গাঁজা ও নারীদের নিয়ে অনৈতিক ব্যবসা। আমি এসবে বাধা দিলে আমার ওপর চলে নির্যাতন।

সুহিনা বলেন, ধারাবাহিক এ নির্যাতনের এক পর্যায়ে গত ২৪ জুলাই আমাকে বেধড়ক মারপিট করে আমার চুল কেটে ঘরে বন্দি করে রাখে। আমার তিন বছরের শিশু সানিয়া কান্নাকাটি করায় পাশের বাড়ির লোকজন এসে আমার স্বজনদের খবর দেয়। পরে তারা এসে আমাকে উদ্ধার করে। এ নিয়ে আমি মৌলভীবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করি।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আমরা রোববার মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছি। আজ সুহালকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ওমর ফারুক নাঈম/এনএ