বিনা ও বিনার বিজ্ঞানী পেল আন্তর্জাতিক পুরস্কার
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ‘আউটস্ট্যান্ডিং অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)।
একই সঙ্গে ‘উইমেন ইন প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন বিনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামছুন্নাহার বেগম। মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট) দুপুরে বিনা কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম জানান, প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষির উৎপাদনশীলতা ও কৃষকের আয় বর্ধনে ‘প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং’ এ অসামান্য অবদানের জন্য বিনা এবং ‘রিলেটেড বায়োটেকনোলজি’তে অসামান্য অবদানের জন্য বিনার নারী বিজ্ঞানীকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
তিনি আরও জানান, আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিব্য আইএইএ’র ৬৫তম সাধারণ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার হস্তান্তর করা হবে। এরআগে ২০১৪ সালে বিনার তৎকালীন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বর্তমান মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম প্রথম এ পুরস্কার লাভ করেন।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে বিনার মহাপরিচালক জানান, পরমাণুশক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে মিউটেশন ব্রিডিং, কনভেনশন ব্রিডিংসহ অন্যান্য কলাকৌশল প্রয়োগ করে ধান, গম, পাট, ডাল, তেল ও উদ্যানতাত্ত্বিক ফসলের উচ্চফলনশীল, উন্নত মানসম্পন্ন জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে নিরন্তর কাজ করছে।
বিনা উদ্ভাবিত স্বল্পকালীন, উচ্চফলনশীল বিনাধান উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা দূরীকরণ, উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় লবণসহিষ্ণু বিনাধানের চাষাবাদ, খরাপীড়িত বরেন্দ্র এলাকাসহ বন্যাকবলিত যমুনা অববাহিকায় বিনাধানের আবাদ করে চাষিরা বাম্পার ফলন পাচ্ছেন এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, বিনা উদ্ভাবিত সরিষা ও ডাল জাতীয় ফসলের সাথে সমন্বয় করে এক ফসলি জমিতে দুই ফসল, দুই ফসলি জমিতে তিন ফসল এবং তিন ফসলি জমিতে চারটি ফসল আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে। জিঙ্ক সমৃদ্ধ বিনাধান-২০ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টির অভাব দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিনা পরিচালনা পর্ষদের সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, বিনার পরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ড. আবুল কালাম আজাদ, ড. আব্দুল মালেক, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ও ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনসহ বিনার বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উবায়দুল হক/এমএসআর