কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী এম এস আনোয়ারুল হক। তাকে ঘুষ না দিলে কোনো কাজই হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে বার বার অভিযোগ করেও কোনো সমাধান হয়নি। 

সম্প্রতি একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে তিনি আবারো আলোচনা আসেন। এ ঘটনার পর তাকে দাউদকান্দি উপজেলা থেকে হবিগঞ্জের বাহুবলে বদলি করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগে বলদির আদেশের একটি মেইল পেয়েছি।

জানা গেছে, প্রকৌশলী এম এস আনোয়ারুল দাউদকান্দিতে যোগদানের শুরু থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। ফাইলের সঙ্গে টাকা না দিলে দিনের পর দিন ফাইল আটকে রাখেন। দাউদকান্দি উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় ভুক্তভোগীরা বার বার অভিযোগ করলেও তার ঘুষ লেনদেন বন্ধ করা যায়নি।

সুন্দরপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ আলম বলেন, প্রকৌশলী আনোয়ারুল হক দাউদকান্দিতে যোগদানের পর বিভিন্ন রাস্তাঘাট, কালভার্ট ও সেতুর কাজ চলাকালীন ঠিকাদার ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন। উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় ‘প্রকৌশলীকে ঘুষ না দিলে কাজ হয় না’ মর্মে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যানরা।

দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল ইসলাম খান বলেন,  প্রকৌশলী এম এস আনোয়ারুল হকের বিরুদ্ধে পর পর দুটি অভিযোগ এসেছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মৌখিক অভিযোগ দিয়েছি। তবে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। সম্প্রতি তার টাকার নেওয়ার ছবি ফেসবুকে দেখেছি। কিছুক্ষণ আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ খান স্বাক্ষরিত একটি মেইলে তার বলদি আদেশ দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী এম এস আনোয়ারুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এসপি