দিন দিন কুমিল্লায় করোনা শনাক্তের হার কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। জেলায় আইসিইউ সেবাসহ উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও রোগীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যুর তালিকায় যোগ হয়েছে আরও ১৪ জনের নাম। শুক্রবার  (০৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় কুমিল্লার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লায় ৫৬৩ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এদের মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার ১৬৩ জন, আদর্শ সদরের ১ জন, সদর দক্ষিণের ৭ জন, বুড়িচংয়ের ৫৮ জন এবং ব্রাহ্মণপাড়ার ২৪ জন রয়েছেন।

এছাড়াও চান্দিনার ১০ জন, চৌদ্দগ্রামের ১৯ জন, দেবিদ্বারের ১৫ জন, দাউদকান্দির ৩২ জন, লাকসামের ৬ জন, লালমাইয়ের ২২ জন, নাঙ্গলকোটের ৫৫ জন,  বরুড়ার ১৯ জন, মনোহরগঞ্জের ১৮ জন, মুরাদনগরের ৮২ জন, মেঘনার ১৮ জন ও তিতাসের ১৪ রয়েছেন।  

মৃত ১৫ জনের মধ্যে চান্দিনার ৩ জন, বরুড়ার ৩ জনসহ বাকিরা অন্যান্য উপজেলার বাসিন্দা। যাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ১০ জন নারী রয়েছেন। মৃতদের বয়স ৩৮ থেকে ৭৫  বছরের মধ্যে। কুমিল্লায় এখন পর্যন্ত মোট ৩৩ হাজার ৩৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৭৮৬ জন।

কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, করোনা পরিস্থিতি আগের তুলনায় কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চলমান রয়েছে। সেই সঙ্গে খাদ্যসামগ্রী বিতরণও চলছে।

সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন বলেন, কুমিল্লায় সংক্রমণের হার ৪০.৪৫ শতাংশ ছিল। যা বর্তমানে ৩০-৩২ শতাংশে নেমে এসেছে। জেলা জুড়ে টিকা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বেশি হওয়ায় শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। গণটিকা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

আরএআর