মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগে আধঘণ্টা টিকাদান বন্ধ ছিল।

রোববার (৮ আগস্ট) দুপুরের দিকে মৌলভীবাজার হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে বিষয়টি সমাধান করেন। এতে পুনরায় টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হয়।
 
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে দীর্ঘ লাইন তৈরি হয় আজ। রেড ক্রিসেন্টর সেচ্ছাসেবকদের কিছু সদস্য স্বজনপ্রীতি করে লাইন ভেঙে অনেকজনকে টিকা প্রদান করেন।

আবার পুলিশের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠে। এতে করে স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে দ্বন্দ্ব লেগে যায়। এতে টিকাদান কার্যক্রম বয়কট করেন রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা। এ কারণের আধঘণ্টা টিকাদান বন্ধ থাকে।

টিকা নিতে আসা রুহুল বলেন, ৪ মাস পরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ২য় ডোজ নিলাম। দীর্ঘ লাইন, কিন্তু হঠাৎ স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশের মধ্যে ঝামেলার কারণে আধঘণ্টা টিকা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। যাই হোক দীর্ঘ দিন টিকা নিতে পেরে ভালো লাগল।

হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক বলেন, পুলিশ ও রেড ক্রিসেন্টর সদস্যদের মধ্যে কিছু ছোটখাট ঝামেলা হয়েছে। পরে তা সমাধান করা হয়। প্রতিদিনই হাসপাতালে ভ্যাকসিনের জন্য দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়।

রেড ক্রিসেন্টর টিম লিডার কামরুল এইচ মুন্না বলেন, আমাদের একজন সদস্য ও পুলিশের একজন সদস্যের মধ্যে সামান্য ঝামেলা হয়েছে। পরে আরএমও’র কক্ষে বসে বিষয়টি সামধান করা হয়। এই ঘটনার সময় টিকাদান বন্ধ ছিল না।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক বলেন, এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। হয়তো লাইনের জটলা বা অন্য কোনো কারণে টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হতে পারে।

ওমর ফারুক নাঈম/এমএসআর