‘সরকারি হসপিটাল থেকে আমরা যে খবর পেয়েছি, করোনা রোগীদের একমাত্র প্যারাসিটামল আর স্ট্যাবল জাতীয় ওষুধ ছাড়া আর কিছু দেওয়া হয় না। করোনা চিকিৎসায় যে অন্য আরও ওষুধ লাগে, সেগুলো আমরা দিই। বিগত ১২ বছর এত নিপীড়ন-নির্যাতনের পরও এই সময়ে প্রায় তিন কোটি মানুষের ঘরে খাবার সামগ্রী পৌঁছিয়েছে। বিএনপি যে মানুষের দল, বিএনপি যে মানুষের পাশে থাকে, এটাই তার প্রমাণ।’

সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার বাহারমর্দান গ্রামে ছয় শতাধিক মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

তিনি বলেন, করোনকালীন এবার আমরা এই প্রক্রিয়াটা অন্যভাবে করছি। সেটা হলো, মানুষকে ওষুধ দিয়ে সেবা করা। বিশেষ করে গরিব মানুষের করোনা রোগ হলে তাদের চিকিৎসা করার কোনো উপায় থাকে না। সে জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির উদ্যোগে মৌলভীবাজারে করোনা হেল্প সেন্টার খোলা হয়েছে। এই হেল্প সেন্টারের মাধ্যমে ওষুধ বিতরণের পাশাপাশি খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে। এটি খুবই প্রশংসনীয়।


 
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, করোনার গণটিকাদান নিয়ে সরকার ও সরকারি দল সত্যিকার অর্থে দেশে নাটক সৃষ্টি করেছে। টিকা কেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় করোনার টিকা বরাদ্দ কম দিয়ে হাজার হাজার মানুষ জড়ো করছে। সেখানে মানুষ টিকা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সারাদেশের ন্যায় মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির উদ্যোগে করোনা হেল্প সেন্টার চালু করা হয়েছে। সেখানে করোনা রোগীদের মাঝে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। কাউকে কাউকে অ্যাম্বুলেন্স সেবাও দেওয়া হচ্ছে।

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ফয়জুল করিম ময়ূনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বকসি মিছবাউর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি এম নাসের রহমান। 

অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির উদ্যোগে কর্মহীন, গরিব ও দুস্থ ছয় শতাধিক পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আটা, তেল, আলু, সাবানসহ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

ওমর ফারুক নাঈম/এনএ