আড়ানী পৌর নির্বাচনে আ.লীগের মেয়র প্রার্থী শহিদুজ্জামান শহিদের ব্যক্তিগত চেম্বার ও নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

রাজশাহীর আড়ানী পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শহিদুজ্জামান শহিদের পথসভায় ককটেল হামলা হয়েছে। বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে পৌর এলাকার তালতলায় এ ঘটনা ঘটে। 

ওই সময় পথসভায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শহিদুজ্জামান শহিদ উপস্থিত ছিলেন। হামলায় তার ভাগ্নে তুষার (২৮)  আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এদিকে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর ব্যক্তিগত চেম্বার ও নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়। সেখানকার শতাধিক দোকানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে হামলাকারীরা।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মধ্যরাতে তালতলা বাজারের দুই প্রান্তে সশস্ত্র অবস্থান নিয়েছে বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলী এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহিদের কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক। 

আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী শহিদুজ্জামান শহিদ অভিযোগ করে বলেন, তার পথসভায় লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়েছেন মেয়র প্রার্থী মুক্তার আলী। হঠাৎ গুলি বর্ষণ শুরু করেন এবং বোমা হামলা চালান। প্রাণের ভয়ে নৌকার সমর্থকরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। চালায় লুটপাট। এর আগেও বার বার নৌকার কর্মীদের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার মিলছে না।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে কয়েক দফা চেষ্টা করেও বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী মুক্তার আলীর মোবাইল সংযোগ পাওয়া যায়নি। ফলে এ নিয়ে তার মন্তব্য মেলেনি। 

তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার দাবি করেছেন রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, আগামী ১৬ জানুয়ারি এই পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। আড়ানী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে অংশ নিয়েছেন শহিদুজ্জামান শহিদ, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তোজাম্মেল হোসেন এবং স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র মুক্তার আলী নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। মেয়র মুক্তার আলী পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে থাকায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এসপি