সিরাজগঞ্জে বিষাক্ত রেকটিফাইড স্পিরিট পানের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল চারজনে। সোমবার (৯ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া নেওয়ার পথে রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসীবাজার এলাকায় পৌঁছালে তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী।

একই সঙ্গে স্পিরিট পানে সাবেক ইউপি সদস্য বাবু সেখ ও হযরত আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যদিকে পুলিশ স্পিরিট বিক্রেতা সঞ্জিত কুমার ভৌমিককে রেকটিফাইড স্পিরিটসহ আটক করেছেন।

নতুন করে মারা যাওয়া পিন্টু শেখ (৪০) শিয়ালকোল ইউনিয়নের বিলধলি পুকুরচালা এলাকার মৃত ঘুইয়া শেখের ছেলে। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, শনিবার (৭ আগস্ট) ছয়জন মিলে পার্শ্ববর্তী কামারখন্দ উপজেলা সদরের কাকলী হোমিওপ্যাথিক দোকান থেকে সনজিদ কুমার ভৌমিকের কাছ থেকে রেকটিফাইড স্পিরিট কিনে শ্যামপুর এলাকার একটি শ্বশানঘাটের কালিমন্দিরের পাশে বসে সবাই মিলে পান করেন।

এরপর সবাই যার যার বাড়িতে চলে যান। ওইদিন কিছু না হলেও ৮ আগস্ট রাতে বিষক্রিয়া শুরু হওয়ায় ৬ জনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ৬ জনকেই জেলা সদরের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ৬ জনের মধ্যে সোমবার ভোরে দুইজন হাসপাতালে এবং একজন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন রঘুনাথপুর গ্রামের হাফিজুলের ছেলে ওয়াহাব (৩০) ও সিকিম আলীর ছেলে আব্দুল (৩২), সরাইচন্ডী গ্রামের কালু শেখের ছেলে আবু তাহের (৫০) ও বিলধলি পুকুরচালা এলাকার মৃত ঘুইয়া শেখের ছেলে পিন্টু শেখ (৪০)।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারকী ঢাকা পোস্টকে বলেন, রেকটিফাইড স্পিরিট পানে মৃত্যু বেড়ে চারজন হয়েছে। আমরা সকালে তিনজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছিলাম।

শুভ কুমার ঘোষ/এমএসআর