মৈত্রী হাটে অর্ধেকেরও কম দামে মিলছে খাদ্যসামগ্রী
বাজারদরের চেয়েও অর্ধেকেরও কম দামে পণ্য বিক্রির হাট বসেছে যশোর ইন্সটিটিউট চত্বরে। ব্যতিক্রমী এই নিত্যপণ্যের বাজারটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মৈত্রী হাট’। মৈত্রী হাটের উদ্যোগে শহরের নিম্নআয়ের মানুষের কাছে সপ্তাহব্যাপী অল্প দামে খাদ্যসামগ্রী বিক্রির কাজ শুরু হয়েছে।
‘আগে এলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে ৩৩৫ টাকা মূল্যের খাদ্যসামগ্রী বিক্রি হয়েছে মাত্র ১৫০ টাকায়। কর্মসূচির প্রথম দিনেই ৩০০ জনের কাছে খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করা হয়েছে। প্রতিদিন ৩০০ প্যাকেট হিসেবে সাত দিনে দুই হাজার ১০০ প্যাকেট খাদ্যপণ্য অর্ধেকের কম মূল্যে সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন হাটের আয়োজকরা।
বিজ্ঞাপন
হাটের আয়োজক সূত্র বলছে, মৈত্রী মানবিক সহায়ক কমিটির নতুন সংযোজন এই ‘মৈত্রী হাট’। সকাল ১০টা থেকে দুপুরে ১২টা পর্যন্ত হাট চলবে। যশোর ইন্সটিটিউটের লাইব্রেরি ভবনের ভেতরে যশোরের নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্যে এই হাটের আয়োজন।
নিম্নআয়ের মানুষের জন্য চালু এই মেত্রী হাটের নিত্যপণ্যের একটি প্যাকেজে থাকছে ২ কেজি চাল, ১ কেজি করে আলু ও আটা। এছাড়াও থাকছে আধা কেজি করে মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও লবণ। যার বতর্মান বাজার দাম প্রায় ৩৩৫ টাকা।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু মৈত্রী হাটের দাম রাখছে ১৫০ টাকা। ৫০ শতাংশের চেয়েও কম দামে খাদ্যসামগ্রীর একটি প্যাকেজ বিক্রি হচ্ছে। হাটে প্রতিদিন ৩৩৫টি করে প্যাকেট বিক্রি হবে। একজন ব্যক্তি কেবল একটি প্যাকেজ নিতে পারবেন। ১ সপ্তাহ ধরে এই হাট চলবে।
‘মৈত্রী মানবিক সহায়ক কমিটি’র সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ বলেন, সমাজ বদলের যোদ্ধা হিসেবে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে তাদের এই উদ্যোগ। করোনা অতিমারির এই সময়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ২০২০ সালের ২২ এপ্রিল গঠন করা হয় মৈত্রী মানবিক সহায়ক কমিটি।
তিনি বলেন, সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনে আমাদের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। দেশে ও দেশের বাইরে থাকা আমাদের সাবেক নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী, সুহৃদ, স্বজন ও সাধারণ মানুষ এই আয়োজনে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন।
জাহিদ হাসান/এমএসআর