খুলনায় করোনায় আরও ৭ জনের মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীর তিনটি হাসপাতালে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
এর মধ্যে খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে চার জন, শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে দুই জন ও খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- বটিয়াঘাটার রাবেয়া (৫০), একই থানা এলাকার বকরাম হোসেন (৭০), ঝালকাঠির রাজাপুরের হাসান আলী (৭৫) ও বাগেরহাটের চিতলমারীর মোশাররফ শেখ (৯০)।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১৩ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ৪৭ জন, ইয়েলো জোনে ৩৩ জন, আইসিইউতে ২০ জন এবং এইচডিইউতে ১৩ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২০ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩২ জন।
খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে করোনায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- নগরীর দৌলতপুর কারিকরপাড়ার মোমেনা বেগম (৫২) ও দেয়ানার ফজলুর রহমান (৯০)।
হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ২৮ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জন ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন চার জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২২ জন। তার মধ্যে ১০ জন পুরুষ, আর ১২ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ জন।
খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নগরীর সামসুর রহমান রোডের তরফদার আব্দুল মোতালেব (৫৫) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ৫০ জন ভর্তি রয়েছেন। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ জন।
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৮ জন। আইসিইউতে চার জন এবং এইচডিইউতে ২ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৬ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ জন।
মোহাম্মদ মিলন/জেডএস