রংপুরে করোনায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু
রংপুর বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৪২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গেল ১২ দিনে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৮ জনে। তবে বুধবারের তুলনায় বিভাগে মৃত্যু ও শনাক্ত দুটোই বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুরের ছয়জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ছয়জন, দিনাজপুরের দুইজন ও নীলফামারীর একজন রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
একই সময়ে বিভাগে ২ হাজার ২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে রংপুরের ১৬৯ জন, দিনাজপুরের ৬৪ জন, গাইবান্ধার ৫৮ জন, কুড়িগ্রামের ৪১ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৩১ জন, পঞ্চগড়ের ২৬ জন, নীলফামারীর ২৩ জন ও লালমনিরহাট জেলার ১৫ জন রয়েছেন। বিভাগে শনাক্তের হার ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ।
নতুন মারা যাওয়া ১৫ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৮ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুরের ৩০০ জন, রংপুরের ২৫২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ২১০ জন, নীলফামারীর ৭৭ জন, পঞ্চগড়ের ৬৬ জন, কুড়িগ্রামের ৫৯ জন, লালমনিরহাটের ৫৭ জন ও গাইবান্ধার ৫৭ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫০১ জন।
বিজ্ঞাপন
বিভাগের আট জেলায় এখন পর্যন্ত ৪৯ হাজার ৮২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ১৩ হাজার ৫৬৬ জন, রংপুরে ১১ হাজার ৩৭৫ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ হাজার ৬৮১ জন, গাইবান্ধায় ৪ হাজার ৩১৩ জন, নীলফামারীর ৪ হাজার ৫৯ জন, কুড়িগ্রামে ৪ হাজার ১৭৫ জন, লালমনিরহাটে ২ হাজার ৪৭৪ জন এবং পঞ্চগড়ে ৩ হাজার ১৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত বিভাগে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ১৩৮ জনে।
করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এ ছাড়া সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলোয় বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।
এদিকে গণটিকা ক্যাম্পেইনে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণে রংপুরের নির্ধারিত কেন্দ্রগুলো ছাড়াও পাড়া-মহল্লায় ওয়ার্ড পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া মিলছে। প্রতিদিন টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে নারী-পুরুষের উপচে পড়া ভিড় আর লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর