প্রতিমন্ত্রীর বাসার সামনে মারধরের শিকার যুবলীগ কর্মী
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপির বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ধূমপানকে কেন্দ্র করে তার অনুসারী আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাত পৌনে ৮টার দিকে নবগ্রাম রোডে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন বেগম ভিলার সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে ধূমপান করছিলেন ছাত্রলীগ নেতা মাহিদুর রহমান মাহাদের অনুসারী এক কর্মী। এর প্রতিবাদ করেন যুবলীগ নেতা মোস্তাফিজ রানার অনুসারী আনিস।
বিজ্ঞাপন
আনিস বলেন, যে ধূমপান করছিল তাকে আমিও চিনি না। তবে কয়েকদিন ছাত্রলীগের সঙ্গে কাজ করতে দেখেছি। মন্ত্রী মহোদয়ের বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ধূমপান করায় আমি প্রতিবাদ করি। এ নিয়ে ছাত্রলীগের অন্যান্যরা কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে মারধর করে।
স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করেন। সংঘর্ষের সময় যুবলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর করেন। আবার ছাত্রলীগের নেতারাও হামলা চালান। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মন্ত্রীর বাসার গেটে লাথি মেরে ভাঙার চেষ্টা চালান। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চৌমাথা থেকে বটতলা পর্যন্ত সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞাপন
যুবলীগ নেতা মোস্তাফিজ রহমান রানা বলেন, ঘটনাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। সমস্যা সমাধান করে দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহামুদুল হক খান মামুন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এটি অভ্যন্তরীণ কোনো কোন্দল নয়। এক যুবক স্থানীয় এক সিনিয়র লোকের সামনে দাঁড়িয়ে ধূমপান করছিল। এ নিয়েই তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি হয়েছে। পরে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে কি নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে সেটা কেউ আমাদের নিশ্চিত করেননি। আমরা সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসপি