খদ্দেরের ফোনে পুলিশের সাহায্য চেয়ে পল্লী থেকে তরুণী উদ্ধার
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে শুক্রবার এক তরুণীকে (২৫) উদ্ধার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার আলীনগর এলাকার এক দরিদ্র ভ্যানচালকের কন্যা।
নায়িকা হওয়ার প্রলোভনে পড়ে ওই তরুণী প্রায় দেড় বছর আগে পল্লীতে বিক্রি হয়েছিলেন। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন, পল্লীর বাসিন্দা রিতা বেগম (২৭) ও তার স্বামী সোহেল রানা (৩০)।
বিজ্ঞাপন
গোয়ালন্দ ঘাট থানায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণীর মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়েছে। তার বাবা দরিদ্র ভ্যানচালক। সাত বছর আগে হেমায়েতপুরের কানারচর এলাকায় তার বিয়ে হয়। স্বামীর বাড়িতে থাকা অবস্থায় অজ্ঞাত এক তরুণের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। তিনি তাকে নায়িকা বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে গত বছরের জানুয়ারির প্রথম দিকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে নিয়ে রিতা বেগম ও সোহেল রানার কাছে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।
রিতা ও সোহেল রানা ভুক্তভোগী তরুণীর কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেন এবং তাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেন। পালিয়ে যেতে পারেন এমন ভয়ে তারা তাকে ঘরে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখতেন। শুক্রবার তার কাছে খদ্দের আসেন। তরুণী তাকে সবকিছু খুলে বলেন। খদ্দেরের ফোন দিয়েই তিনি ৯৯৯- এ কল করেন এবং উদ্ধারের জন্য সহযোগিতা চান। কিছুক্ষণ পরই গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং আসামিদের গ্রেফতার করে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, উদ্ধার হওয়া তরুণী বাদী হয়ে রিতা বেগম, সোহেল রানা ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের শনিবার আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মীর সামসুজ্জামান/আরএইচ