ঘরের চালা জরাজীর্ণ। সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরে পানি পড়ে ভিটেমাটি কাদায় ভরে যায়। ঝড়ের কবল থেকে রক্ষা পেতে ছুটতে হয় প্রতিবেশীর বাড়িতে। ঝুপরি ঘর রক্ষায় চারপাশে কয়েকটা প্রতিরোধক খুঁটি লাগানো হয়েছে। তবুও আতঙ্কে দিন কাটে। না জানি কখন সর্বনাশা ঝড়ে শেষ সম্বলটুকু উড়িয়ে নিয়ে যায়।

এমন চিত্র খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের খেদাছড়ার বাসিন্দা তাহেরা বেগমের বাড়িতে। স্বামী হারিয়ে দুই ছেলে নিয়ে তার বসবাস। আর্থিক দুরাবস্থার কারণে কোনো রকম জীবিকা নির্বাহ করেই চলে তার সংসার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাহেরা বেগমের দৈন্যদশার কথা তুলে ধরেন একজন। এটা দেখার পর শনিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে তাহেরা বেগমের ঝুপরি ঘরে ছুটে যান মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা) মো. হেদায়েত উল্ল্যাহ্। 

এ সময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শেখ মো. আশরাফ উদ্দিন ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাজ কুমার শীল উপস্থিত ছিলেন।

পাকা ঘর পাওয়ার খুশিতে আপ্লুত হয়ে প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়ে তাহেরা বেগম বলেন, আমি কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি আমার পাকা ঘর হবে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার আমার কপালে জুটবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দুহাত তুলে দোয়া করেন তিনি।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা) মো. হেদায়েত উল্ল্যাহ্ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার অসহায়দের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। অসহায় তাহেরা বেগমের অবস্থা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর তাকে হবে।

জাফর সবুজ/এসপি