হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে এক নৌ-পুলিশকে দুই ডোজ আলাদা টিকা দেওয়ার ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই নার্সকে শোকজ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিদ্যুৎ দাশ করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা নেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড। শনিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার জন্য গেলে কর্তব্যরত নার্স জোৎস্না বিশ্বাস তার শরীরে সিনোফার্মের টিকা প্রদান করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই পুলিশ সদস্যকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।  

এ ঘটনায় রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মনির হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে জোৎস্না বিশ্বাসকে কারণ দর্শানোর জন্য শোকজ করা হয়েছে। 

এসআই বিদ্যুৎ দাশ জানান, ১১ এপ্রিল তিনি আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেন। পরে মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। চার মাস পর শুক্রবার (১৩ আগস্ট) তার মুঠোফোনে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ম্যাসেজ আসে। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। 

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়া হবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মোহাম্মদ নূর উদ্দিন/এসপি