রোববার বিয়ে শেষে বাড়িতে এসেছে নববধূ। সোমবার (১৬ আগস্ট) বউভাতের অনুষ্ঠান। কিন্তু রাতে ওই বাড়িতে আগুনে আটটি বসতঘর পুড়ে গেছে। মুহূর্তেই বউভাতের আনন্দ রূপ নিয়েছে বিষাদে।

সোমবার (১৬ আগস্ট) ভোর ৫টায় চরহাজারী ১ নং ওয়ার্ডের মাইলয়ালা বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে মো. আবদুর রব, মো. বাচ্চু, মো. মুসা মিয়া, পরানী বেগম, নুর আলম, মোস্তফা সবুজ, মো. রবিন ও মো. সোহেলের ঘর পুড়ে গেছে।

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জামিন মিয়া। তিনি বলেন, আজ ভোরে আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি।

চরহাজারী ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ছোটন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই বাড়িতে আজ বউভাতের অনুষ্ঠান ছিল। তাই রান্নাঘরের চুলা চালু ছিল। ভোর ৫টার দিকে হঠাৎ করে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে সবাই চিৎকার শুরু করেন। এ সময় আশপাশের লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

 

মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ঢাকা পোস্টকে বলেন, দিনটা শুরু হলো দুঃসংবাদে। ঘুম থেকে উঠেই জানতে পারি চরহাজারী ১ নং ওয়ার্ডে মাইলয়ালা বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে একসঙ্গে সাত পরিবারের ১৪টি ঘর পুড়ে যায়। অন্যদিকে চরহাজারী ২ নং ওয়ার্ডের মিলনের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে দুই পরিবারের চারটি ঘর পুড়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় মানবিকতা। আমাদের মানবিক হতে হবে। সমালোচনা করা সহজ কিন্তু বর্তমানে মানবিক হওয়া কঠিন। তাই কালক্ষেপণ না করেই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে গিয়েছি। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে সাড়ে ৪ লাখ টাকা তুলে দিয়েছি। 

হাসিব আল আমিন/এসপি