মো. দেলোয়ার হোসেন

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়া পরা অবস্থায় পালিয়ে যাওয়া ধর্ষণ মামলার আসামি মো. দেলোয়ার হোসেনকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টার দিকে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। বর্তমানে তিনি কামরাঙ্গীরচর থানা হেফাজতে আছেন।

গ্রেফতার মো. দেলোয়ার হোসেন সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বগাদিয়া গ্রামের সওদাগর বাড়ির মৃত আবদুল লতিফের ছেলে। গ্রেফতারের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া মো. দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি কামরাঙ্গীরচর থানা হেফাজতে আছেন। পালিয়ে যাওয়া আরেক আসামি মো. জুয়েলকে গ্রেফতারে রাতভর অভিযান অব্যাহত আছে। পালিয়ে যাওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জের গাজারিয়া থানায় মামলা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, আসামি পলায়নের ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহাম্মদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম রেঞ্জ অফিসকে অবহিত করা হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন- সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস ও নারী কনস্টেবল আসমা আক্তার।

অন্যদিকে এ ঘটনায় নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসাকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। 

প্রসঙ্গত, ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারের পর ডিএনএ নমুনা দিয়ে ঢাকা থেকে ফেরত আসার সময় মো. জুয়েল (২৪) ও মো.  দেলোয়ার হোসেন (২৮) নামে দুই আসামি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকার হাইওয়ে রোডের পাশের আল মদিনা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের টয়লেটের ভেনটিলেটর ভেঙে হাতকড়াসহ পালিয়েছিলেন। বুধবার (১৮ আগস্ট) বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

তখন পুলিশ জানিয়েছিল, ধর্ষণ মামলায় আদালতের নির্দেশে এজাহারনামীয় জেল হাজতের আসামি মো. জুয়েল ও মো. দেলোয়ার হোসেনের ডিএনএ পরীক্ষা করানোর জন্য ঢাকার মালিবাগের সিআইডি অফিসে নেওয়া হয়। ডিএনএ নমুনা দেওয়ার পর ঢাকা থেকে ফেরার পথে গজারিয়া থানা এলাকার হাইওয়ে রোডের পাশে আল মদিনা হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টে ভাত খাওয়া শেষে আসামিরা টয়লেটে যাওয়ার কথা বলেন। এ সময় আসামিরা পুলিশ পাহারায় টয়লেটে প্রবেশ করেন। দরজার সামনে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহম্মেদ ও কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস পাহারায় থাকেন। আসামিদের টয়লেট থেকে বের হতে বিলম্ব দেখে টয়লেটের দরজা ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে দেখতে পান আসামিরা টয়লেটের ভেনটিলেটর ভেঙে পালিয়ে গেছেন।

হাসিব আল আমিন/এইচকে