গত তিন দিন ধরে নদী পারের জন্য রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের নতুন রাস্তা এলাকায় অপেক্ষা করছেন ট্রাকচালক শহিদুল। গত সোমবার (১৬ আগস্ট) তিনি নদী পারের জন্য সাতক্ষীরা থেকে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে বের হন। গোয়ালন্দ মোড়ে পৌঁছানোর পর দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য তাকে দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজবাড়ীর দিকে ঘুরিয়ে দেন। এরপর কেটে গেছে তিন দিন। এখনো ফেরির দেখা পাননি তিনি।

শুধু শহিদুল নন। এ রকম শত শত ট্রাকচালক এখন নদী পারের জন্য ঢাকা-খুলনা ও দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে  অপেক্ষা করছেন। দিনের পর দিন খোলা আকাশের নিচে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তারা। চরম ভোগান্তিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন পণ্যবাহী ট্রাকচালক ও সহকারীরা।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় সরেজমিন দেখা যায়, নদী পারের জন্য দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজবাড়ীর দিকে প্রায় ৬ কিলোমিটার আলাদিপুর জুট মিল পর্যন্ত অপেক্ষা করছে প্রায় ৬ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক অপেক্ষা করছে। অপরদিকে দৌলতদিয়া ঘাটের ৩ নম্বর ফেরি ঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে নদী পারের জন্য আরও অপেক্ষা করছে প্রায় দুই শতাধিক যানবাহন। এর মধ্যে ৫০টির মতো দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী ট্রাক চালক আসলাম শেখ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখানে তিন দিন আটকে আছি। এখনো ফেরির দেখা পেলাম না। আমার সামনে প্রায় তিন শতাধিক ট্রাক রয়েছে। কবে নাগাদ ফেরির দেখা পাব বুঝতে পারছি না। খোলা সড়কে রাত কাটাতে নানা ধরনের বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। খাবার, পানি ও টয়লেটের জন্য বেশি সমস্যায় পড়ছি।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে নদী পারের জন্য ট্রাকগুলোকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট বড় ১৮টি ফেরি চলাচল করছে।

মীর সামসুজ্জামান/আরএআর