যমুনায় পানি বৃদ্ধি, বিপাকে নদীপাড়ের মানুষ
ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নদীপাড়ের মানুষ ও গো-খামারিরা।
শনিবার (২১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ও কাজীপুর উপজেলার মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৪৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ রিডার আব্দুল লতিফ ও কাজীপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টের গেজ রিডার ওমর আলী ঢাকা পোস্টকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার ও
কাজীপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৪৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
গত ১৪ আগস্ট থেকে শুরু করে শনিবার (২১ আগস্ট) পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এ সকল এলাকার বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্যা দুর্গতরা। বন্যা কবলিত এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে রোপা আমন খেত, বীজতলা, আখ, পাট, তিল ও সবজি বাগানসহ বিভিন্ন ফসল।
বিজ্ঞাপন
এদিকে পানি বাড়ায় তলিয়ে গেছে শাহজাদপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ গো-চারণভূমি ও সবুজ ঘাস। ফলে দুই লক্ষাধিক গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গো-খামারিরা। বাড়ির ছোট ছোট খামারে গাদাগাদি করে রাখা হচ্ছে গবাদি পশু। এতে নানান রোগ দেখা দিচ্ছে বলেও জানা গেছে।
জেলার কাজীপুর উপজেলার চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ, তেকানি, মুনসুরনগর ও খাসরাজবাড়ি ইউনিয়ন এবং চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শুরু হওয়া ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও বসতভিটা। নদীর পাড় থেকে ঘড়-বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন ভাঙন কবলিতরা।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আরও দুদিন যমুনা নদীর পানি বাড়বে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম নাও করতে পারে। দু-চারদিন পর থেকে পানি কমতে থাকবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম ঢাকা পোস্টকে জানান, যমুনা নদীতে পানি বাড়লেও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত খোঁজ-খবর রাখছি। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো বিতরণ করা হবে।
শুভ কুমার ঘোষ/এসপি