কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও ধরলা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন ফসল ও কাঁচা রাস্তা পানিতে তলিয়ে রয়েছে। পাশাপাশি এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। ফলে নদীপারের মানুষ পড়েছে বিপাকে।

সোমবার (২৩ আগস্ট) স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, বৃষ্টিপাত কম থাকায় নদ-নদীর পানি আর বাড়ার আশঙ্কা কম।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নদ-নদীর পানিবৃদ্ধির ফলে জেলার বিভিন্ন নদীর অববাহিকায় শুধু ৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমির আমন আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হবে, তা পরে জানা যাবে।

সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহাড়া গ্রামের মো. মঞ্জু মিয়া বলেন, খুবই টেনশনে আছি। আমার দুই বিঘা জমির আমন খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। কী যে হবে আল্লাহ ভালো জানেন। তবে আশা করছি যদি দু-এক দিনের মধ্যে পানি নেমে যায়, তাহলে তেমন সমস্যা হবে না।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সরকার বলেন, নদ-নদীর পানিবৃদ্ধির ফলে আমার ইউনিয়নের যে দ্বীপ চরগুলো আছে, সেখানকার বাড়িগুলোর চারদিকে পানি রয়েছে। তারা নৌকা ছাড়া বের হতে পারছে না। তবে কোনো বাড়ির ভেতরে এখনো পানি প্রবেশ করেনি। অন্যদিকে বেশির ভাগ জমির রোপা আমন খেত পানিতে তলিয়ে গেছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মঞ্জুরুল হক জানান, জেলায় ৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমির রোপা আমন আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে দুই-তিন দিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না আমনচাষিদের।

মো. জুয়েল রানা/এনএ