সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহমেদ

পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়া পরা অবস্থায় ধর্ষণ মামলার দুই আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এবার নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহমেদকে কর্তব্যে অবহেলা ও গাফিলতির দায়ে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা- ২০১৮ এর বিধি ১২ (১) মোতাবেক চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্ত থাকাকালে তিনি বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রাত ১০টায় নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, এ ঘটনায় স্পটে থাকা তিন পুলিশ সদস্যকে আগেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তখন পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহমেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস ও নারী কনস্টেবল আসমা আক্তার।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারের পর ডিএনএ নমুনা দিয়ে ঢাকা থেকে ফেরত আসার সময় মো. জুয়েল (২৪) ও মো.  দেলোয়ার হোসেন (২৮) নামে দুই আসামি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকার হাইওয়ে রোডের পাশের একটি রেস্টুরেন্টের টয়লেটের ভেন্টিলেটর ভেঙে হাতকড়াসহ পালিয়েছিলেন। তখন পুলিশ জানিয়েছিল, ধর্ষণ মামলায় আদালতের নির্দেশে এজাহারনামীয় জেল হাজতের আসামি মো. জুয়েল ও মো. দেলোয়ার হোসেনের ডিএনএ পরীক্ষা করানোর জন্য ঢাকার মালিবাগের সিআইডি অফিসে নেওয়া হয়। 

ডিএনএ নমুনা দেওয়ার পর ঢাকা থেকে ফেরার পথে গজারিয়া থানা এলাকার হাইওয়ে রোডের পাশে আল মদিনা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে আসামিরা টয়লেটে যাওয়ার কথা বলেন। এ সময় আসামিরা পুলিশ পাহারায় টয়লেটে প্রবেশ করেন। দরজার সামনে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহমেদ ও কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস পাহারায় থাকেন। আসামিদের টয়লেট থেকে বের হতে বিলম্ব দেখে তারা টয়লেটের দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে দেখতে পান আসামিরা টয়লেটের ভেন্টিলেটর ভেঙে পালিয়ে গেছেন।

হাসিব আল আমিন/আরএআর