হাসপাতালে স্বজনদের আহাজারি

পাবনা সদর উপজেলার হামচিয়াপুর গ্রামে এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে দাবি স্বজনদের।

তবে পুলিশ বলছে, পরিবারের লোকজন প্রথমে মেয়েটির পেটে ব্যথা ও বিষাক্ত কিছু খেয়েছে বলে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। মৃত্যুর পর ধর্ষণের কথা প্রকাশ করেছেন।

মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। অভিযুক্ত নিহাদ (১৭) দশম শ্রেণির ছাত্র। 

নিহত স্কুলছাত্রীর মা ও মামা অভিযোগ করেন, এক বছর ধরে নিহাদ ওই স্কুলছাত্রীকে নানাভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তার উত্ত্যক্তের কারণে মেয়েটিকে পার্শ্ববর্তী নানার বাড়িতে রেখে পড়াশোনা করানো হচ্ছিল। কয়েকদিন আগে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে বাড়িতে বেড়াতে আসে ওই স্কুলছাত্রী। বুধবার দুপুরে তার মা পাটের আঁশ ছড়াতে যান আর বাবা শ্রমিকের কাজ করতে যান। এ সময় বাড়িতে একা থাকার সুযোগে নিহাদ তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় প্রচুর রক্তক্ষরণে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার মা বাড়িতে ফিরে মেয়েকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়। 

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনা জানার পর আমরা হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছি, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে কাগজপত্র অনুযায়ী পরিবারের লোকজন মেয়েটির পেটে ব্যথা ও বিষাক্ত জাতীয় কিছু খেয়েছে মর্মে উল্লেখ করে সাধারণ ওয়ার্ডে ভর্তি করে। হাসপাতালে ভর্তির সময় তারা পুলিশকে কিছু জানাননি। মেয়েটি মারা যাওয়ার  পর ধর্ষণের কথা প্রকাশ করেছে।

ওসি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিবারের অভিযোগসহ অন্যান্য সব বিষয় মাথায় রেখে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে নাকি বিষাক্ত কিছু খেয়ে মৃত্যু হয়েছে এ বিষয়টি ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী রেজিস্টার ডা. ফরহাদ হোসেন বলেন, মেয়েটিকে তার পরিবারের লোকজন পেটে ব্যথা বলে সাধারণ ওয়ার্ডে ভর্তি করে। বিষাক্ত কিছু খেয়েছে কিনা সে বিষয়টি সন্দেহ করে পেট ওয়াশ করেও তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। মেয়েটি মারা যাওয়ার পর তার মা ধর্ষণের কথা জানিয়েছে।

রাকিব হাসনাত/আরএআর