গোয়ালন্দে পদ্মার তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত
রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর পানি দুটি পয়েন্টে কমলেও বেড়েছে একটি পয়েন্টে। ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া পয়েন্ট পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া পাংশার সেনগ্রাম ও সদরের মাহেন্দ্রপুর পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় পানি কমেছে। রোববার (২৯ আগস্ট) দুপুর ১২টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে এ তথ্য জানা যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজবাড়ীর ৩টি গেজ স্টেশন পয়েন্টের মধ্যে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে পানি ১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
অন্যদুটি পয়েন্টের মধ্যে পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর সদরের মাহেন্দ্রপুর পয়েন্টে পানি ১ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।
দৌলতদিয়া পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাটে ওঠার সংযোগ সড়ক তলিয়ে গেছে। এছাড়া নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও গোয়ালন্দ উপজেলার নদীতীরবর্তী অধিকাংশ অঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ২ হাজার পরিবার। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ অনেক রাস্তাঘাট। এতে করে সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। মাঠ-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে পাংশার সেনগ্রাম, হাবাসপুর, কালুখালির রতনদিয়া, হরিণাবাড়িয়ার চর, সদরের মিজানপুর ইউনিয়নের চরমৌকুড়ি, কাঠুরিয়া,আম্বিয়ার চর ও বরাটে পানি ওঠে যাওয়ায় এই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল জানান, তার ইউনিয়নের পানিবন্দি বাসিন্দাদের তালিকা করে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত রয়েছে। ইতোমধ্যে পানিবন্দি মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের কাজ চলছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আহাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, কয়েকদিনের পানি বৃদ্ধিতে প্লাবিত হওয়া এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। এই বছর বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।
মীর সামসুজ্জামান/এমএসআর