ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঘটিয়ে পুলিশের কাছে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র জমা দিয়েছে বর্তমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের দুটি পক্ষ।

এতে করে দীর্ঘদিনের শত্রুতার অবসান ঘটল ঘোষপুর ইউনিয়নের চণ্ডিবিলা এলাকার বিবাদমান ইউপি চেয়ারম্যান এসএম ফারুক হোসেনের সমর্থক কাজী রফিউদ্দীন ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা চাঁদ মিয়া গ্রুপের মধ্যে।

রোববার (২৯ আগস্ট) বিকেলে ঘোষপুর ইউনিয়নের চন্ডিবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামানের উপস্থিতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের চণ্ডিবিলা এলাকার বিবাদমান ইউপি চেয়ারম্যান এসএম ফারুক হোসেনের সমর্থক কাজী রফিউদ্দীন ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা চাঁদ মিয়া গ্রুপ দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঘটিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র জমা দেন।

সভায় প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান বলেন, পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল এখন বাস্তবে দেখা যাচ্ছে। টেকনোলজি, কৃষি খাতসহ সব পর্যায়ে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। সম্মান অর্জন করতে হয় ব্যক্তি আচরণের মাধ্যমে। কাইজ্জা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে সম্মান পাওয়া যায় না, ব্যক্তি আচরণ সবকিছু প্রমাণিত করে।

‘কাইজ্জা করলে সুনাম নষ্ট হয় অর্জন হয় না’- উল্লেখ করে পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ঢাল সুড়কি, দেশীয় অস্ত্র আগে ব্যবহ্নত হতো। যে সময় গ্রামগঞ্জে বনজঙ্গল ছিল। বনজশত্রু মোকাবেলা করার জন্য এসব লাগতো। আর এখন ডিজিটাল প্রজম্ম। সন্তানকে ইন্টারনেট কিনে দেন সে পৃথিবীকে জানুক।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, আপনারা পুলিশকে সহযোগিতা করুন এই জনপদে মাদক থাকবে না, থাকবে না কোনো দাঙ্গা-হাঙ্গামা। আগামী ৭ সেপ্টেম্বরে মধ্যে যার যার ঘরে আরো যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র আছে তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার।

সভায় আরো বক্তব্য দেন, সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান, ঘোষপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা জামান সিদ্দিকী, ঘোষপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা চাঁদ মিয়া, কাজী রফিউদ্দিন প্রমুখ।

এমএএস