১১ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ শুরু
চুয়াডাঙ্গায় মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ১১ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। সোমবার (৩০ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে লাইনচ্যুত বগিগুলো সরিয়ে নিলে পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রোববার রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে খুলনা থেকে ডিজেল ভর্তি ৩০টি বগি নিয়ে আসা ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গার উথলী রেলওয়ে স্টেশনে লাইনচ্যুত হয়। এতে খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত দলের অন্য সদস্যরা হলেন- পাকশী বিভাগীয় সংকেত প্রকৌশলী রাজিব বিল্লাহ, পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) আশিষ কুমার মন্ডল, পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মমতাজুল ইসলাম এবং পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী (১) বিরবল মন্ডল।
এদিকে দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল সচল হলে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ার পর রোববার রাত থেকে তারা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। কেউ কেউ টিকেটের টাকা ফেরতও নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, টানা ১১ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এই ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি হয়েছে।
উথলী রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আলী জানান, খুলনা থেকে ডিজেল নিয়ে নাটোরের উদ্দেশে যেতে থাকা মালবাহী ট্রেনটি উথলী স্টেশনে আসার পর ক্রসিংয়ের জন্য ২ নম্বর লাইনে নেওয়া হয়। রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ক্রসিং শেষে ট্রেনটি নাটোরের উদ্দেশে ছাড়ে। ট্রেনটি ২ নম্বর লাইন থেকে ১ নম্বর লাইনে ঢোকার ১৪/১৫ নম্বর পয়েন্ট অতিক্রম করার সময় পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ কারণে এ লাইনে ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। বর্তমানে এ রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
আফজালুল হক/এসপি/জেএস