গোটা পুকুরের মাছ বিক্রি করে দিয়েছেন। সে জন্য ক্রেতার পুকুর থেকে মাছ তোলার কথা ছিল ভোররাতে। তাই গভীর রাতে গিয়ে পুকুরের টংঘরে পাহারার উদ্দেশ্যে শুয়ে ছিলেন চাষি মাসুদ রানা (৪৫)। সঙ্গে ছিলেন সহযোগী লিটন আলীও (৩০)।

কিন্তু জেলেরা পৌঁছার আগেই পুকুরে হানা দেয় চোরের দল। প্রথমে দুজনকে হাত-পা শক্ত করে বেঁধে উপুড় করে ফেলে রাখে। এরপর পুকুরে জাল ফেলে তারা। কিন্তু জাল টেনে তোলার আগেই পৌঁছে যায় মাছের ক্রেতা জেলেরা। শেষে জাল ফেলে পালিয়ে যায় চোরের দল।

এদিকে জেলেরা হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান মাসুদ রানা ও লিটনকে। কিন্তু মাসুদ রানা ততক্ষণে সাড়াশব্দহীন। নাকমুখ শক্ত করে বাঁধায় শ্বাসরোধেই তিনি মারা যান।

রোববার (২৯ আগস্ট) ভোররাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের লালদীঘি এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে।

নিহত মাসুদ রানা উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের চাপাল এলাকার আব্দুল খালেক সরকারের ছেলে। লালদীঘি এলাকার গ্যাংটা পুকুর ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছিলেন তিনি। তার সহযোগী লিটন আলী একই উপজেলার কানাইডাঙ্গা এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।

গোদাগাড়ী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হাত ও পা বাঁধার পরও গামছা দিয়ে দুজনের শক্ত করে নাক-মুখ বাঁধা ছিল। এতেই শ্বাসরোধ হয়ে মাসুদ রানা মারা গিয়ে থাকতে পারেন।

তবে লিটন প্রাণে বেঁচে গেছেন। খবর পেয়ে রাতেই গিয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। সোমবার (৩০ আগস্ট) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, এ নিয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিহতের স্বজনরা। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টাও চালাচ্ছে পুলিশ।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এনএ