আমের রাজ্যে রঙিন আম, ফিরছে আবার ফলসা
আকর্ষণীয় রঙিন আমের জাত উদ্ভাবন করেছে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র
রাজশাহীতে ফিরছে এবার হারিয়ে যাওয়া অপ্রচলিত ফল ফলসা। রাবি ফলসা-১ নামে নতুন ফলসার জাত উদ্ভাবন করেছে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র। একই সঙ্গে উদ্ভাবন করা হয়েছে বারি আম-১৪ নামে আকর্ষণীয় জাতের আম। রঙিন এই আম এখন থেকে ঝুলবে রাজশাহীর বাগানগুলোতে।
গত ৩১ ডিসেম্বর নতুন এই দুই ফল নিবন্ধন সনদ পেয়েছে। এর মাধ্যমে নতুন জাত হিসেবে ফলের রাজ্যে সংযোজন হলো রঙিন আম ও রাবি ফলসা।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দিন। তিনি বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর বারি আম-১৪ ও বারি ফলসা-১ নতুন ফলের ইনব্রিড জাত হিসেবে জাতীয় বীজ বোর্ডের প্রত্যয়ন পেয়েছে। বিষয়টি তিনি রোববার জানতে পারেন।
তিনি বলেন, বারি আম-১৪ জাতটি সৌদি আরব থেকে সংগ্রহ করা। এর বিশেষত্ব আকর্ষণীয় রং। পাকলে এই জাতের আম গাঢ় তাম্রবর্ণ বা জমাটে লাল বর্ণ ধারণ করে। আমের রাজ্যে বারি আম-১৪ অদ্বিতীয়। দীর্ঘ দশ বছরের গবেষণায় আমের এই জাতটি উদ্ভাবন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
উচ্চফলনশীল আমের নতুন এই জাতটি বারি আম-১৪ দেশের সর্বত্রই চাষযোগ্য। কিছুটা বিলম্বে জুলাইয়ের শেষের দিকে পাকে এই আম। গোলাকার প্রতিটি আমের ওজন অন্তত ৫৬৯ গ্রাম। আমটির ৭৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ ভক্ষণযোগ্য। এই আমের মিষ্টতা ২২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। বছরে হেক্টর প্রতি এই জাতের আমের উৎপাদন হবে ১৪ টন।
অন্যদিকে, বারি ফলসা-১ স্থানীয় ফলের নতুন জাত। এই ফলটি হারিয়ে গিয়েছিল বলা যায়। দীর্ঘ দশ বছরের চেষ্টায় বারি ফলসা-১ হিসেবে ফলসা ফিরে এলো।
উচ্চফলনশীল বারি ফলসা-১ মে-জুন মাসে পাকে। ছোট ও গোলাকার প্রতিটি ফলের ওজন দশমিক ৬৬ গ্রাম। পরিপক্ক ফলের রং পুরোপরি বেগুনি হয়। এ ফলের ৮৮ শতাংশই খাওয়া যাবে। এই ফলের মিষ্টতা ২৪ শতাংশ। বছরে এই ফলের ফলন হবে ২০ কেজি।
ড. আলীম উদ্দিন আরও বলেন, বারি আম-১৪ ও বারি ফলসা-১ সমগ্র দেশে চাষযোগ্য। জাত নিবন্ধন পাওয়ায় এখন তারা চারা উৎপাদনে যাবেন। প্রথম পর্যায়ে সরকারি নার্সারীগুলোতে পাওয়া যাবে এই চারা। যত দ্রুত সম্ভব নতুন ফলের জাত দুটি কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে চান তারা।
এসপি