প্রতিপক্ষের লোকজনের কাছে খাবার বিক্রি করার অভিযোগে একটি হোটেলে তালা দেওয়ার বিষয়ে মুখ খুলেছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। সোমবার (৩০ আগস্ট)  সকাল ১০টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।

স্ট্যাটাসে কাদের মির্জা লিখেছেন, বসুরহাট পৌরসভাধীন খালপাড়ের সরকারি জায়গা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও বসুরহাট পৌরসভার সমন্বয়ে দখলমুক্ত করার পর পুনরায় সরকারি জায়গা দখল করে রেস্তোরাঁ ব্যবসা করায় এবং রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নামে সিন্ডিকেট করে খাবারের দাম স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি নেওয়া, অপরিচ্ছন্ন থাকা ও হোটেলের সামনে রাস্তার ওপর মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি রেখে রাস্তায় জ্যাম সৃষ্টি করায় ফেন্সী হোটেলকে একাধিকবার সাবধান করা হয়েছে।

একাধিকবার সাবধান করার পরও পৌরসভার আদেশ তোয়াক্কা না করে উল্টো তারা আমাকে (মেয়র, বসুরহাট পৌরসভা) অকথ্যভাষায় গালমন্দ করে। অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় এবং সাবধান করার পরও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করায় পৌর প্রশাসনের পক্ষ হতে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পৌর এলাকার নিয়ম শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পৌরসভার মেয়রের। কিছু সংবাদমাধ্যম উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভুল তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। জনস্বার্থে পৌর প্রশাসনের স্বাভাবিক কার্যক্রম নিয়ে এ জাতীয় বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করায় নিন্দা জ্ঞাপন করছি।

যোগাযোগ করা হলে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ঢাকা পোস্টকে বলেন, হোটেলের মালিককে এর আগেও কয়েকবার সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু মালিকপক্ষ নির্দেশ মানেনি। তাই পৌরসভার নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গতকাল বিকেলে হোটেলটি বন্ধ করেছি।

প্রসঙ্গত, রোববার (২৯ আগস্ট) বিকেলে প্রতিপক্ষের লোকজনের কাছে খাবার বিক্রি এবং বাসায় সরবরাহ করায় বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্বর সংলগ্ন প্রধান সড়কের পাশে ফেন্সী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে তালা দেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে দলের লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মেয়র কাদের মির্জা। পরে তিনি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজনের কাছে খাবার বিক্রি এবং বাসায় সরবরাহের অভিযোগ তোলেন ফেন্সী হোটেলের বিরুদ্ধে। এরপর নিজ দলের লোকজন দিয়ে হোটেলের ভেতরে খাবার খেতে বসা লোকজনকে বের করে ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। 

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বিষয়ে মালিকপক্ষ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আমি শুনেছি সরকারি জায়গা দখল করে হোটেলটি নির্মাণ করা হয়েছে।

হাসিব আল আমিন/আরএআর