দৌলতদিয়ায় ঘাট এলাকায় পদ্মার ভাঙন
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় হঠাৎ পদ্মার ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে তীরবর্তী ১০০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সোমবার (৩০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ৪ নম্বর ফেরিঘাটের সিদ্দিক কাজীর পাড়ায় এ ভাঙন শুরু হয়।
ভাঙনে নদীপাড়ের একমাত্র মসজিদসহ চারটি বাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাঙনের খবরে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগমসহ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএর) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা বলেন, সোমবার ভোরে নদীতীরবর্তী সিদ্দিক কাজীর পাড়া জামে মসজিদে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পদ্মার তাণ্ডব শুরু হয়। এতে করে মসজিদের অর্ধেকসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ সময় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার বাসিন্দা সিদ্দিক কাজী, হান্নান কাজী, মান্নান কাজী ও বাচ্চু শেখের বতসভিটা নদীগর্ভে চলে যায়।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, সকালে হঠাৎ করে পদ্মার ভাঙন শুরু হয়। মনে হচ্ছে পদ্মা নদীর পাড়ে মসজিদের নিচের থেকে মাটি সরে যাওয়ার কারণে এই ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙনে নদীপাড়ের বিভিন্ন স্থাপনাসহ ফেরিঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিজ্ঞাপন
বিআইডব্লিউটিএ’র উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, ৪ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে নদীপাড়ের মসজিদসহ কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হুমকির মধ্যে রয়েছে আমাদের ফেরিঘাট। জরুরি ভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন রক্ষার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙনের কথা শুনে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেছি। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন রোধে কাজ করার চেষ্টা করছি।
মীর সামসুজ্জামান/এমএসআর