সুনামগঞ্জে করোনা টিকার প্রথম ডোজ না নিয়েই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার মেসেজ এসেছে তানিয়া আক্তার নামে এক নারীর ফোনে। সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের টিকাকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে। 

তানিয়া আক্তার সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাসননগরের বাসিন্দা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তানিয়া আক্তার ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য সুরক্ষা অ্যাপে ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ নিবন্ধন করেন। পরে ২০ ফেব্রুয়ারি মোবাইলে মেসেজ দিয়ে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু তিনি অন্তঃসত্ত্বা থাকায় ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি তখন। 

এদিকে আগস্টের ১৬ তারিখ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে মোবাইলে মেসেজ আসে। মেসেজে বলা হয়, ১৭ তারিখ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের টিকাকেন্দ্রে টিকা কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে উপস্থিত থাকতে হবে। তখন অনলাইন থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের সাময়িক সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেন। এ সময় দেখতে পান, প্রথম ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখ নেওয়া হয়ে গেছে তার।

তানিয়া আক্তারের স্বামী জাহানুর আহমেদ মনির বলেন, সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের পরে মেসেজ দিয়ে জানানো হয়, ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ তারিখে ভ্যাকসিন নিতে হবে। কিন্তু আমার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা থাকায় সেদিন ভ্যাকসিন নিতে যায়নি। ১৬ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নিতে মোবাইলে মেসেজ আসে।

পরে অনলাইন থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের সাময়িক সার্টিফিকেট বের করে দেখি, তার প্রথম ডোজ টিকা নেওয়া হয়ে গেছে। ১৭ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ নিতে বলা হয়েছে। প্রথম ডোজ না নিয়েই দ্বিতীয় ডোজ নিতে মেসেজ আসায় আমরা শঙ্কিত।

সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন বলেন, প্রথম দিকে কিছু ত্রুটি হয়েছে। দেখা গেছে একসঙ্গে ৫০ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাদের নাম নিবন্ধন করা হয়েছে। তখন এই নারীর নাম হয়তো প্রথম ডোজ নিয়েছেন বলে নিবন্ধন হয়ে যায়। এখন তিনি এলে আমরা তাকে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেবো। তবে কয়েকদিন পর আসতে হবে। 

সাইদুর রহমান আসাদ/এসপি