বদলে যাচ্ছে রাজশাহীর পদ্মাপাড়
বদলে যাচ্ছে রাজশাহী নগরীর অন্যতম উন্মুক্ত বিনোদনকেন্দ্র পদ্মাপাড়। হজরত শাহমখদুম রূপোশ (রহ.) দরগাকেন্দ্র করে পাশের পদ্মাপাড়ে গড়ে উঠছে লালনশাহ পার্ক। দৃষ্টিনন্দন এই বিনোদনকেন্দ্র গড়ছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)।
২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে চলছে উন্নয়নকাজ। এতদিন পদ্মাপাড়ের এই অংশে স্থাপনা নির্মাণ ও গরু-ছাগল রেখেছিল স্থানীয়রা। এতে ম্লান হচ্ছিল পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য্য।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) পদ্মার তীরবর্তী বাঁধের ধার, ফুটপাত, রাস্তা বিভিন্ন প্রকার অবৈধ স্থাপনা ও গরু-ছাগল সরিয়ে নিতে এলাকাবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছে রাসিক। সেই সঙ্গে এলাকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে পদ্মাপাড় এলাকা পরিদর্শন করেন নগর কর্তৃপক্ষের একটি দল। এ সময় তারা নিজ দায়িত্বে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এলাকাবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
রাসিকের অনুরোধে ইতোমধ্যে অনেকে নিজ দায়িত্বে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করেছে। আর যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলোও দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণ করতে হবে।
পরিদর্শনকালে রাজশাহী রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবু, সচিব মশিউর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইমরানুল হক, উপসহকারী প্রকৌশলী মোকাম্মেল আলী, উপসহকারী প্রকৌশলী (সংশ্লিষ্ট প্রকল্প) ফররুখ আহমেদ শিশির উপস্থিত ছিলেন।
রাসিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে লালনশাহ পার্কের উন্নয়নকাজ চলছে। এ কাজের আওতায় বাউন্ডারি ওয়াল, সৌন্দর্য্যবর্ধক রেলিং, ওয়াকওয়ে, দর্শনার্থীদের বসার বেঞ্চ, ক্যাফেটেরিয়া সংস্কার করা হচ্ছে। লালনশাহ বাঁধসংলগ্ন রাস্তাটি প্রশস্তকরণসহ ফুটপাত নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন।
পদ্মা গার্ডেনসংলগ্ন ব্রিজ হতে শাহমখদুম মাজারসংলগ্ন ব্রিজ পর্যন্ত ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে হজরত শাহ মখদুম (রহ.) মাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি ও পদ্মা গার্ডেন সংলগ্ন এলাকায় আরেকটি ঝুলন্ত ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।
৯৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন ওভার ব্রিজ দুটি চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ব্রিজের সৌন্দর্যবর্ধনে করা হয়েছে নান্দনিক গ্রাফিটি।
রং আর তুলিতে ওভারব্রিজ দুটিকে নান্দনিকভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন পদ্মাপাড়ের ব্যাপক উন্নয়ন করেন।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএসআর