কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম

চাঁদাবাজির মামলা ও সংবাদ সম্মেলন সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করায় যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক গ্রামের কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিনসহ দুইজনের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার মানহানির মামলা হয়েছে। 

বুধবার কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গৌতম মল্লিক অভিযোগে তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। মামলার অপর আসামি হলেন, কেশবপুরের বজ্রকাটি গ্রামের খন্দকার রফিকুজ্জামানের ছেলে খন্দকার মফিদুল ইসলাম।

গত ১৭ আগস্ট যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামসহ তিনজনের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেছেন ডিশ (ক্যাবল) ব্যবসায়ী খন্দকার মফিদুল ইসলাম। এরপর ২৪ আগস্ট প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে মফিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, মেয়র ও তার সহযোগীদের নামে মামলা করে বাদী ও সাক্ষীরা বিপাকে আছেন। 

২৮ আগস্ট যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে শান্তিপ্রিয় মানুষ দাবি করেন মেয়র রফিকুল ইসলাম।

মানহানির মামলার বাদী মেয়র রফিকুল ইসলামের অভিযোগ, তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে কেশবপুর পৌরসভায় দুইবার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। পৌরবাসীর জীবনমান উন্নয়নে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে আসামি মফিদুল ইসলাম মেয়রের সম্মানহানির জন্য নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তার ধারাবাহিকতায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেল করেন মফিদুল ইসলাম। সেই সংবাদ গ্রামের কাগজে প্রকাশ করে মেয়রের সম্মানহানি করা হয়েছে। যা মেয়র নিজেসহ অন্যরা দেখে বিস্মিত হয়। এতে মেয়রের এক কোটি টাকার সম্মানহানি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে, ৩০ আগস্ট কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামসহ ৭ জনের নামে চাঁদাবাজি, ফাঁকা চেক ছিনতাই ও জোরপূর্বক নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেছেন কেশবপুর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের শওকত আলীর ছেলে মিজানুর রহমান শিমুল। বিচারক গৌতম কুমার মল্লিক অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

জাহিদ হাসান/এমএএস