হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার টিক্কা হাওরে নববধূকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নববধূ। এ সময় তার স্বামীসহ কয়েকজনকে মারধর অভিযোগ উঠেছে। তবে ঘটনার ছয় দিন পর নববধূকে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী নববধূর স্বামীর অভিযোগ, দুর্বৃত্তরা ওই দিনের ঘটনার ভিডিও দৃশ্যধারণ করে রেখেছে। এ সময় বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল তাকে। এই ভয়ে তিনি বিষয়টি প্রকাশ করা থেকে বিরত ছিলেন।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিলেক অফিসার ডা. মুবিন উদ্দিন চৌধুরী জানান, ধর্ষণের অভিযোগে ওই নববধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) তার ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হবে। এরপর বোঝা যাবে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি না।

ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, সম্প্রতি তিনি তার গ্রামের এক তরুণীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর গত ২৫ আগস্ট স্ত্রীসহ কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে উপজেলার টিক্কা হাওরে নৌকা নিয়ে আনন্দ-ভ্রমণ করতে যান। একপর্যায়ে বাড়িতে ফিরতে রাত হলে তার গ্রামেরই পাঁচ যুবক তাদের নৌকায় উঠে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের জিম্মি করে। পরে সবাই মিলে নববধূকে ধর্ষণ করে। এ সময় তারা তাদের মোবাইল ফোনে ভিডিওধারণ করে। বাধা দিলে আামদের মারধর করে।

তিনি আরও জানান, দুর্বৃত্তরা ধর্ষণের ভিডিওধারণ করার পর বলেছে, বিষয়টি নিয়ে কাউকে কিছু বললে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে। এ অবস্থায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।

লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। তবে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে এখনো জানানো হয়নি কিংবা কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মোহাম্মদ নূর উদ্দিন/এনএ