ফরিদপুর পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে মনিরুল হাসানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটিতে তিন জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ৫৯ জনকে সদস্য করা হয়েছে। সবমিলিয়ে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সংখ্যা ৬৩।

কমিটিতে উপেক্ষিত হয়েছে নারী কোটা রাখার নির্দেশনা। ৬৩ জন সদস্যের মধ্যে কোনো নারী নেই। বিষয়টি নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে খোদ আওয়ামী লীগেই।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মির্জা আজম স্বাক্ষরিত পত্রে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) এ কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর উল্লেখিত ওই পত্রে বলা হয়, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কাযনির্বাহী সংসদের ওপর অর্পিত ক্ষমতা বলে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের অন্তর্গত পৌর অনুমোদিত কমিটি অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হলো।

ঘোষিত এ আহ্বায়ক কমিটিতে রয়েছেন- আহ্বায়ক মনিরুল হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদ উদ্দিন আহমেদ, মনিরুজ্জামান ও বদিউজ্জামান।

৬৩ সদস্য বিশিষ্ট ঘোষিত এ কমিটিতে কোনো নারীকে সদস্য না রাখার বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ঝর্ণা হাসান বলেন, এ ঘটনা রীতিমতো আমাদের বিস্মিত করেছে। এটি অবাক করার মতো ঘটনা।

তিনি বলেন, যাদের নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রে জমা দেওয়া হয়েছিল সেই তালিকায় অন্তত পাঁচ থেকে ছয় জন নারী সদস্য ছিলেন। বেছে বেছে কেন নারীদেরই বাদ দেওয়া হলো তা আমাদের বোধগম্য নয়।

নবগঠিত পৌর কমিটি প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, ঘোষিত কমিটিতে নারীর কোটা পূরণ করা হয়নি। এটার দরকার ছিল। যেখানে দলের সভানেত্রী নারী কোটা বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।

২০১৬ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে ফরিদপুর পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি অনুমোদিত হয়। ২০২০ সালের জুনে ফরিদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে বরকত গ্রেফতার হলে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এর প্রেক্ষিতে নতুন এ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হলো।

জহির হোসেন/এসএসএইচ