ফাইল ছবি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। অপরদিকে একই স্থানে একই দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু। এতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় পৌরসভা চত্বরে রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর রংমালা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

এ সময় আবদুল কাদের মির্জা বলেন, প্রশাসনের রক্তচক্ষুকে আমি ভয় পাই না। বরিশালে যে সমস্যা হয়েছিল তা এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান হয়েছে। এদিকে আজ আট মাস কোম্পানীগঞ্জে সমস্যা চলছে। দুইটা মায়ের বুক খালি হয়েছে। অথচ কোনো সমাধানের চেষ্টা নেই।

সমাবেশের ডাক দিয়ে কাদের মির্জা বলেন, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর (রোববার) সমাবেশ আছে আপনারা সবাই আসবেন। আমি প্রয়োজন হলে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করব। প্রয়োজন হলে হরতাল অবরোধ দেব। আমি সত্য কথা থেকে সরে আসতে পারব না। কারণ আমি নামাজের বিছানায় শপথ করেছি।

এ ঘোষণা শোনার পর রাত ৯টায় ফেসবুক লাইভে এসে একই দাবিতে একই স্থানে কর্মসূচি ঘোষণা করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু।

এ সময় তিনি বলেন, আগামী রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর রংমালা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হবে।

এদিকে দুইপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। দুইপক্ষই কর্মসূচি সফল করার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন, এসব পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে আবারও সহিংসতায় কোম্পানীগঞ্জ উত্তাল হয়ে উঠতে পারে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন,  দুইপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির বিষয়ে প্রশাসন অবগত আছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে আট মাস ধরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

হাসিব আল আমিন/এসএসএইচ