এ বছর বন্যায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা, উলিপুর, নাগেশ্বরী, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুরসহ ৯টি উপজেলায় ছোটবড় মিলে প্রায় ২১৯টি পুকুর প্লাবিত হয়েছে। এতে ২০২ জন মাছচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলায় ২১৯টি পুকুর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। যার আয়তন প্রায় ৩৩ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২০২ জন মাছচাষি। এতে ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। 

রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে- সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে অন্যন্য নদ-নদীর পানি কমেছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহাড়া গ্রামের খুটু মিয়া বলেন, এলাকায় অন্যের দুটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করেছি আমি। মাছ বিক্রি করার সময় হয়েছে, এমন অবস্থায় বন্যার পানিতে ওই দুইটা পুকুরের মাছ বের হয়ে গেল। এতে আমার ৪০-৫০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। শীতকাল তো চলেই আসছে, মাছ ছাড়ব কখন আবার বড় করব কখন?

ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম গ্রামের মঈনউদ্দীন পাপ্পু বলেন, আমি ৫ হাজার টাকার পোনা মাছ পুকুরে ছেড়েছি। সেই মাছ বড় না হতেই বন্যায় পুকুর তলিয়ে সব মাছ বের হয়ে গেছে। মাছগুলো থাকলে ২০-২৫ হাজার টাকা বিক্রি করা যেত। 

নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মজিবর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নটি পুরাই চরাঞ্চল। এখানে পুকুরের সংখ্যা একেবারেই কম। তাও চলমান বন্যায় না হলেও ১৫-২০টি পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে।

কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালি পদ রায় জানান, এ বছর বন্যায় জেলায় ২১৩টি পুকুর প্লাবিত হয়েছে। এতে ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২০২ জন মাছচাষি। 

জুয়েল রানা/আরএআর