বান্দরবানের রুমার সেই আলোচিত সেতুর পরিদর্শনে যায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত দল। রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) রুমা পলিকাপাড়া এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে রাস্তাবিহীন সেতু নির্মাণের স্থান পরিদর্শনের পর সন্তোষ প্রকাশ করেন তদন্ত দলের সদস্যরা।

এলজিইডি গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন কমিটির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, রাঙামাটি অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুন্নবী ও স্থানীয় সরকার বান্দরবান জেলার উপপরিচালক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফর রহমান।

এর আগে বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পলিকাপাড়ায় পাহাড়ের পাদদেশে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তাবিহীন সেতু নির্মাণের খবরটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এলে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গত ২৪ আগস্ট স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে ৩ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়।

সরেজমিনে তদন্ত করে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিটিকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার সকালে তদন্ত কমিটির সদস্যরা রুমা উপজেলার পলিকাপাড়ায় নির্মিত সেতুটি পরিদর্শনে যান এবং স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় দেখা যায়, সেতুর অপর পাশে বিশাল পাহাড়টি কেটে এক পাশে রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। তদন্ত টিম ঘটনাস্থলে যাওয়ার দুই দিন আগে থেকে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ টেন্ডারবিহীন মৌখিক কার্যাদেশ দিয়ে পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করে।

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুস শাহাদাত মো. জিল্লুর রহমান বলেন, পাহাড় কেটে রাস্তার কাজ না করলে আমরা কীভাবে রাস্তা নেব, সেটা বোঝা যাবে না। তাই ম্যাপ অনুযায়ী বোঝার স্বার্থে আমরা নিজস্ব তহবিলের মাধ্যমে কাজটি শুরু করেছি। কাল-পরশুর মধ্যে আমরা সেটি টেন্ডার আহ্বান করব।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. মিজানুর রহমান বলেন, সেতুটির অপর প্রান্তে একটি পাহাড় রয়েছে, সেটি সঠিক। তবে সেখানে এলজিইডির ২২ কিলোমিটারের একটি রাস্তার ম্যাপ রয়েছে। ১ হাজার ২০০ মিটার রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। আগামীকাল সেটার টেন্ডার হবে।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে অন্য কোনো প্রকল্পের মাধ্যমে ২০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি, রাস্তাটি হলে সেতুটির কারণে তারা উপকৃত হবে। 

রিজভী রাহাত/এনএ