দুই শিশুপুত্রকে অস্ত্র চালানো শেখানো নিয়ে যা বললেন বিচারক
সিনিয়র সহকারী জজ জাহিদুল ইসলাম জুয়েল
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জজ আদালতের লিগ্যাল এইড শাখার সিনিয়র সহকারী জজ জাহিদুল ইসলাম জুয়েল তার দুই শিশুপুত্রকে অস্ত্র চালানো শেখাচ্ছেন- এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তাকে হেনস্তা ও ব্ল্যাকমেইল করার উদ্দেশ্যে পাঁচ বছর আগের ভিডিওটি নতুন করে ফেসবুকে ভাইরাল করা হয়েছে বলে দাবি বিচারক জাহিদুল ইসলাম জুয়েলের।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার বড় বোনকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে নিয়াজ মাহমুদ ভিকু নামে আমেরিকা প্রবাসী এক ব্যক্তি। ভিকুর বাড়ি নড়াইল জেলায়। বোনকে ছাড়াও আমার স্ত্রী ও ভাইয়ের বউকে নিয়ে মুঠোফোনে নানা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তিনি। এর জের ধরেই ২০১৬ সালে ফেসবুকে থাকা একটি ভিডিও ডাউনলোড করে তা ভাইরাল করেছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ভিডিওটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, পিস্তল হাতে শিশু ছেলে। পেছনে দাঁড়িয়ে বিচারক বাবা। তিনি ছেলেকে শেখাচ্ছেন ট্রিগার চাপার কৌশল। ছেলেও একের পর এক ছুড়ছেন গুলি। বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে চারপাশ।
ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করে সিনিয়র সহকারী জজ জাহিদুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ২০১৬ সালে কর্মরত ছিলাম সুন্দরবন এলাকায়। সেসময় নিরাপত্তার স্বার্থে আমার লাইসেন্স করা দুটি অস্ত্র ছিল। সুন্দরবন বেড়াতে গিয়ে বাচ্চারা শখ করে পিস্তল দিয়ে গুলি করেছে। তখনই এই ভিডিওটি আমার নিজস্ব ফেসবুকে আপলোড করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বাচ্চাদের আগ্নেয়াস্ত্র চালনা শেখানো নৈতিকভাবে কতটুকু ঠিক- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বাচ্চারা শখ করে করেছে। তবে এটা করা ঠিক হয়নি। সেজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে এর সঙ্গে আর অন্য কিছুর সম্পর্ক নেই। তা না হলে আমি নিজের ফেসবুকে ভিডিওটি পোস্ট করতাম না। ২০১৬ সালে পোস্ট করা ভিডিওটি এখনও আমার টাইমলাইনে রয়েছে।
পাঁচ বছর আগের ভিডিও দিয়ে নতুন করে কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা লেখার দায়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নিয়াজ মাহমুদ ভিকুর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানান এই বিচারক। তিনি বলেন, শুধুমাত্র হেনস্তা করতেই একই ভিডিও প্রতিদিন আপলোড করছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ট্যাক্সিচালক ভিকু। এছাড়াও তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন সময়ে নানা রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট, কমেন্ট ও শেয়ার করে থাকেন।
জাহাঙ্গীর আলম/আরএআর