ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া আর কোনো মরদেহ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে সেখানে তল্লাশি চালিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কারখানায় তল্লাশি চালানো হয়। 

সিআইডির নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে তিন শ্রমিক এখনো নিখোঁজ রয়েছে- পরিবারের এমন আবেদনের প্রেক্ষিতে এ তল্লাশি চালানো হয়েছে। এ সময় কারখানার চতুর্থ তলা থেকে মাথার খুলি ও হাড়ের অংশ বিশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। ডিএনএ টেস্টের জন্য সেগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। 

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, কারখানা কর্তৃপক্ষ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতদের যে তালিকা দিয়েছিল সে অনুযায়ী উদ্ধার কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পরও কিছু মরদেহের সন্ধান পাননি আত্মীয়-স্বজনরা। উদ্ধার হওয়া হাত-পা বা অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ডিএনএ টেস্ট করার পর বুঝা গেছে কিছু মরদেহ এখনো উদ্ধার হয়নি। সেই প্রেক্ষিতে নিখোঁজদের কঙ্কাল বা দেহাবশেষ উদ্ধারের জন্যই এ তল্লাশি চালানো হয়। আজ তল্লাশি চালিয়ে কারখানার ৪ তলার স্তূপ থেকে দুটি মাথার খুলি ও হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডের পর ভবন থেকে লাফিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। সেই সঙ্গে দগ্ধ ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। মরদেহগুলো এতটাই পুড়ে যায় যে সেগুলো দেখে চেনা বা শনাক্ত করার উপায় ছিল না। পরে ডিএনএ টেস্ট করে মরদেহ শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় সব মিলিয়ে ৫২ জনের মৃত্যু হয়। 

রাজু আহমেদ/মাহবুব/আরএআর