রাজশাহী অঞ্চলজুড়ে মহামারি করোনার সংক্রমণ কমল আরও। গত ২৪ ঘণ্টায় নওগাঁয় একজন মারা গেছেন করোনায়। এর বাইরে বিভাগের সাত জেলায় করোনায় প্রাণহানির খবর মেলেনি। এর আগে গত ২৮ আগস্ট বগুড়ায় একজন মারা যান করোনায়।

ওই দিনও বিভাগের বাকি সাত জেলায় করোনায় মৃত্যুর তথ্য নেই। এক দিন পরই প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়ায় ৬ জনে। পরদিন ৩০ আগস্টও ৬ জনের প্রাণ নেয় করোনা। ৩১ আগস্ট ৩ জন বেড়ে প্রাণহানি দাঁড়ায় ৯ জনে।

১ সেপ্টেম্বর ফের প্রাণহানি নেমে আসে ৬ জনে। এর পর ২ সেপ্টেম্বর ৩ জন, ৩ সেপ্টেম্বর ৪ জন, ৪ সেপ্টেম্বর ২ জন, ৫ সেপ্টেম্বর ৩ জন, ৬ সেপ্টম্বর ৫ জন এবং ৭ সেপ্টেম্বর ৩ জন মারা যান বিভাগজুড়ে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১২ এপ্রিল বিভাগে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর ১৪ দিনের মাথায় ২৬ এপ্রিল রাজশাহীতে করোনায় প্রথম প্রাণহানি ঘটে। 

সর্বশেষ গত ২৭ আগস্ট বিভাগজুড়ে করোনা সংক্রমণ ছাড়িয়ে যায় ৯৫ হাজার। আর করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে গত ৪ সেপ্টেম্বর।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিভাগজুড়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে মাত্র ৭৬ জন। তবে এক দিনে কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩১৮ জন। হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন ২৯ জন। এক দিনে আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৯৬ জন।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. নাজমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের হিসেবে, এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় করোনায় মারা গেছেন ১ হাজার ৬২৬ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৬৯ জন মারা গেছে বগুড়ায়। 

এছাড়া রাজশাহীতে ৩০১, নাটোরে ১৭০, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৫৪, নওগাঁয় ১৪০, সিরাজগঞ্জে ৯৫, জয়পুরহাটে ৫৬ এবং পাবনায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই মহামারিতে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিভাগে এ পর্যন্ত ৯৬ হাজার ৭৬৯ জনের করোনা ধরা পড়েছে। এর মধ্যে এক দিনে ১১৪ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

এদিন রাজশাহীতে ২৭, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৪, বগুড়ায় ২১, পাবনায় ২১, সিরাজগঞ্জে ১৪, নওগাঁয় ৩, জয়পুরহাটে ৩  এবং নাটোরে একজনের করোনা ধরা পড়েছে।

এ পর্যন্ত বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ৯১ হাজার ৯১৮ জন করোনা রোগী। এর মধ্যে এক দিনে সুস্থ হয়েছেন ৪৭৬ জন। এই এক দিনে হাসপাতালে এসেছেন ৪৮ জন। করোনায় সব মিলিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৫ হাজার ৫০১ জন।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএসআর