নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নে ৬টি অবিস্ফোরিত ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ ১৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ঢাকা মেট্রো চ-১৩-২২৬৪ নামের একটি মাইক্রোবাস জব্দ করে পুলিশ।

বুধবার (৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাটইয়া ইউনিয়নের ওটারহাট নামক স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি।

জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর অনুসারীরা ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর ঘোষিত কমিটি পূর্ণাঙ্গ ঘোষণার দাবিতে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের জামতলায় বিক্ষোভ করে। 

এ সময় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুসারীরা একই ইউনিয়নের ওটারহাটে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার দাবিতে মিছিল বের করে। এ সময় ওটারহাট এলাকায় একটি মাইক্রোবাসে করে ১৮ যুবক আসলে তাদেরকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ গাড়িতে থাকা ৬টি ককটেল ও ৩টি দেশীয় অস্ত্রসহ ওই যুবকদের আটক করে। আটক যুবকদের কবিরহাট থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টমাস বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৬টি ককটেল ও ৩টি লোহারপাতসহ আটককৃতদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন শাহীন বলেন, একরামুল করিম চৌধুরীর অনুসারী বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালাতে বাইরে থেকে মাইক্রোবাসে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিয়ে এসেছে। পরে এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

 কথা বলার জন্য বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

হাসিব আল আমিন/ওএফ