হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে এক স্কুলছাত্রীর (১৩) বিয়ে পণ্ড করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে বিয়ে পণ্ড করে দেন। এ সময় অভিযানের খবর পেয়ে কনের বাবা-মা পালিয়ে যান। পরে কনের বড় ভাইকে জরিমানা করা হয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে স্থানীয় মিয়াধন মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী চাদনুর আক্তারের (১৩) বিয়ের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। বিষয়টি টের পেয়ে কনের মা-বাবা পালিয়ে যান। পরে কনের বড় ভাইকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ এর অধীন ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মেয়েটির বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেওয়া হবে না মর্মে মুচলেকাও নেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত তথ্য অনুযায়ী মেয়েটির বয়স ১৩ বছর ৬ মাস ২১ দিন। একই জন্ম তারিখ উল্লেখ আছে ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের দেওয়া জন্মনিবন্ধনেও। কিন্তু গত ৬ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কদ্দুছ মিয়া ও সচিব প্রণতিশ চন্দ্র দাসের স্বাক্ষরে মেয়েটির নামে আরেকটি জন্মনিবন্ধন করা হয়েছে। এতে জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ২০০৩ সনের ১০ ফেব্রুয়ারি। সেই অনুযায়ী তার বয়স এখন ১৮ বছর ৭ মাস। 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শফিকুল ইসলাম জানান, জাল জন্মনিবন্ধন তৈরিতে সহায়তাকারী সদর ইউনিয়নের চেয়রম্যান মো. আব্দুল কদ্দুছ মিয়া ও সচিব প্রণতিশ চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট প্রতিবেদন দেওয়া হবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী জেলা প্রশাসক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।  

মোহাম্মদ নুর উদ্দিন/আরএআর