সাভারের আশুলিয়ায় নদীপথ ব্যবহার করে ১৯টি দোকানে ডাকাতি করার পর নরসিংদী জেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত দলের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিভিন্ন স্বর্ণের দোকান টার্গেট করে সারা দেশে নদীপথে ডাকাতি করত তারা।

শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে নরসিংদী সদর থানার বেড়িবাঁধ এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের গ্রেফতার করে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, কাটার, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও একটি প্রাইভেট কার ও স্বর্ণ বিক্রির নগদ ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার কুন্ডেরচর গ্রামের মোহাম্মদ দেওয়ানের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন দেওয়ান (৪০), মাদারীপুর সদর থানার বলাইচর গ্রামের মোতালেব খাঁর ছেলে কামাল খাঁ (৩৯), শরীয়তপুরের জাজিরার দাইমুদ্দিন খলিফার কান্দি গ্রামের মৃত সিরাজ খলিফার ছেলে দেলোয়ার হোসেন খলিফা (৩৬), মাদারীপুর কালকিনি থানার নতুন চর দৌলতখান গ্রামের নুরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে খালেক হাওলাদার (৩৭), বরিশাল জেলার বানারীপাড়া থানার ব্রাম্মণকাঠি গ্রামের মৃত হারুন গাজীর ছেলে আল মিরাজ ওরফে মিন্টু (৩৮), মাদারীপুর সদর থানার বলাইচর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে খবির হাওলাদার (৪০)।

টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার বন্দকাউলজানি গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে রহিম মিয়া (৩১), নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার থানার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে কবির হোসেন (৩৮), একই থানার ঝাউকান্দি (নিরাতকান্দা) গ্রামের সামসু মিয়ার ছেলে রহিম মিয়া (৩৯)।

আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে ১৯ স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় তারা জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে। তারা সবাই একাধিক মামলার আসামি। 

নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংদীর সদর থানার বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ১টি সি-বোটে থাকা ১৪ থেকে ১৫ জন ডাকাত পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। এ সময় একটি প্রাইভেট কারে থাকা ৯ ডাকাতকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আবুল বাসার বলেন, আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আশুলিয়ার নয়ারহাট ও গোপালদী বাজারে স্বর্ণ ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা করে তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে নৌযান ব্যবহার করে আশুলিয়ার নয়ারহাটের ১৭টি স্বর্ণের দোকান ও ১টি মুদি দোকানে ১২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, আনুমানিক মূল্য ৭৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ৯১২ ভরি রুপা, যার আনুমানিক মূল্য ৯ লাখ ১২ হাজারসহ নগদ ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।

মাহিদুল মাহিদ/এনএ