হিন্দু ব্যক্তির মরদেহ কবর থেকে তুলে শ্মশানে সৎকার
শান্ত চক্রবর্তী
শেরপুরে মৃত্যুর তিন দিন পর শান্ত চক্রবর্তী (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। এরপর মরদেহটি শেরপুরের শেরী মহাশ্মশানে সৎকার করা হয়েছে। শান্ত চক্রবর্তী শেরপুর পৌর শহরের গৃর্দানারায়নপুর মহল্লার সমর চক্রবর্তীর ছেলে।
জানা গেছে, গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় শান্ত চক্রবর্তী বাসা থেকে বের হন। কিন্তু তিনি রাতে আর ফেরেননি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি পর সন্ধান না পেয়ে ৭ সেপ্টেম্বর সকালে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার। ওইদিনই ফেসবুকের মাধ্যমে শান্তর পরিবার জানতে পারে যে জামালপুর রেললাইন থেকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তৎক্ষণাৎ তারা রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে উদ্ধার হওয়া মরদেহের ছবি দেখে শনাক্ত করে যে তিনিই শান্ত চক্রবর্তী। কিন্তু ততক্ষণে মরদেহটির ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে স্থানীয় পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।
এরপর শান্ত চক্রবর্তীর ছেলে স্বরূপ চক্রবর্তীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) শান্তর মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়। এ সময় জামালপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। পরে একইদিন দুপুরে শেরপুরের পৌর শহরের শেরী মহাশ্মশানে মরদেহের সৎকার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে ৩ দিন পর হিন্দু ব্যক্তির মরদেহ কবর থেকে তোলা হলো। এখানে ডিএনএ পরীক্ষার দরকার ছিল। তাই এটির কাজ সমাপ্ত করে শনিবার একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ তুলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ ভট্টাচার্য ঢাকা পোস্টকে জানান, নিহত শান্ত চক্রবর্তী একজন ব্রাহ্মণ ছিলেন। সুরতহাল তৈরি ও ময়নাতদন্তে কী এসব বিষয় আসেনি। কেনো রেলওয়ে পুলিশ তাড়াহুড়ো করে দাফনের ব্যবস্থা করল। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।
জাহিদুল খান সৌরভ/এমএইচএস