টাঙ্গাইলে যৌতুক মামলায় শিক্ষক গ্রেফতার
ফয়সাল আহমেদ রিপন
টাঙ্গাইলে স্ত্রীর করা যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলায় ফয়সাল আহমেদ রিপন নামের এক কলেজ শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রিপন দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ডিগ্রি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এবং জেলার কালিহাতী উপজেলার হাওড়াপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে এলাসিন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ডিগ্রি কলেজ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
মামলা সূত্রে জানা যায়, ৪ লাখ টাকা দেনমোহরে জেলার ধনবাড়ী উপজেলার দড়িবিয়াড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক সরকারের মেয়ে রাফিজা সুলতানার সঙ্গে ২০১৭ সালে তার বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর ব্যাংকে টাকা জমানো কথা বলে ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে। সেই টাকা দিয়ে বাড়িতে দুটি ঘর নির্মাণ করেন।
সম্প্রতি এলেঙ্গাতে জমি কেনার জন্য যৌতুক হিসেবে তিনি আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় টাকা দিতে অস্বীকার করায় গৃহবধূকে নির্যাতন করে ফয়সাল ও তার পরিবার। পরবর্তীতে ৫ লাখ টাকা না দিলে তার স্ত্রীকে বাড়ি নেবে না বলে জানিয়ে দেয় ওই কলেজ শিক্ষক। পরে কৌশলে ফয়সালের বোনের বাড়ি এলেঙ্গাতে নিয়ে মারধর করে।
বিজ্ঞাপন
পরে ফয়সাল আহামেদ রিপন, ফয়সালের বাবা ইসমাইল হোসেন, তার বড় ভাই রনজু মান্নান ও ভাবি কুসুমসহ কয়েকজন জোড়পূর্বক রাফিজা সুলতানাকে হেক্সিসল পানে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় রাফিজা সুলতানার অবস্থা অবনতি হলে অভিযুক্তরা তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে পালিয়ে যায়।
পরে রাফিজা সুলতানা বাদী হয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর ফয়সাল আহমেদ রিপনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল কোর্টে নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ১৩ অক্টোবর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর থেকে ফয়সাল আহমেদ রিপনসহ তার পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপনে ছিলো।
কালিহাতী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশিদ বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফয়সাল আহমেদ রিপনকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (২০ জানুয়ারি) আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।’
এমএসআর