গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় মির্জাপুর ইউনিয়নের নিভৃত গ্রাম পানিশাইল। এ গ্রামের শিক্ষার্থী রিচি, আইরিন ও মায়ার মৃত্যু হয়েছে খালের পানিতে ডুবে। এ ঘটনায় রিচির ছোট বোন রিয়ার মরদেহ এখনও পাওয়া যায়নি।

তাদের হঠাৎ মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে পুরো গ্রাম। মঙ্গলবার দুপুরে নিখোঁজ রিয়ার বাড়িতে ভিড় করেছে তার আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা। বাড়ির উঠানের এক কোণে খাটিয়া নিয়ে রিয়ার অপেক্ষা করছেন মা আকলিমা বেগম। শোকার্ত মা রিয়ার বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার কান্নায় আশপাশে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠছে। বাড়িতে আসা স্বজনরাও তাদের চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না।

রিচি ও রিয়ার বাবা সোলায়মান মিয়া জানান, মেয়ে দুটি খুবই শান্ত প্রকৃতির ছিল। দুজনই খুব মেধাবী ছিল। সবসময়ই তারা ক্লাসে প্রথম স্থান অধিকার করত। সমস্ত বাড়িতে তাদের স্মৃতি। 

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই গ্রামের মো. সোলায়মান মিয়ার বড় মেয়ে সাদিয়া আক্তার রিচি (১৪), ছোট মেয়ে রিয়া (১০), হায়েত আলীর মেয়ে আইরিন আক্তার (১৪) ও মঞ্জুর আলমের মেয়ে মায়া বেগম বাড়ির পাশেই তুরাগ নদী ও লবণদহ খালের মোহনায় গোসলে যায়।

এ সময় তারা চারজনই ডুবে নিখোঁজ হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করলেও নিখোঁজ রয়েছে রিচি। মরদেহ উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয়রাও নৌকা নিয়ে নদীর আধা কিলোমিটার এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছেন।

টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের প্রধান আব্দুল জলিল বলেন, সোমবার দুপুরে চার শিক্ষার্থীর নিখোঁজের খবরে ফায়ার সার্ভিস তাৎক্ষণিক তল্লাশি চালিয়ে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। একজনের মরদেহ উদ্ধারে সন্ধ্যা পর্যন্ত তল্লাশি চালানো হলেও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার আবারও নিখোঁজের সন্ধানে অভিযান চালানো হচ্ছে।

শিহাব খান/এসপি