মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে সাংবাদিক শামসুজ্জামান পনিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজদিখান প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

শামসুজ্জামান পনির দৈনিক ইত্তেফাকের সিরাজদিখান উপজেলা সংবাদদাতা ও সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি। 

সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ উদ্দিন বাবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক যাবেদুর রহমান জুবায়েরের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইমদাদুল হক পলাশ, কাজী নজরুল ইসলাম বাবুল, সালাহউদ্দিন সালমান, আরিফ হোসেন হারিছ, নাসিম উদ্দিন, ইসমাইল খন্দকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন থেকে বক্তারা সাংবাদিক শামসুজ্জামান পনিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। 

জানা গেছে, সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের গুয়াখোলা (নগর) জামে মসজিদের নামে আরএস পর্চা অনুযায়ী ৯৩ শতাংশ কৃষি জমি রয়েছে। এছাড়াও ৮ শতাংশ‌ জমির ওপর মসজিদ স্থাপিত। শতবর্ষের পুরোনো এ মসজিটির ইমামের বেতন, মসজিদের সংস্কার ও বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ করা হয় এই ৯৩ শতাংশ জমির আয় দিয়ে। কিন্তু একটি কুচক্রী মহলের নেতা ফরিদ সরকার তার ভাতিজা সাফিকুর সরকার অপুকে ভুয়া মোতাওয়াল্লি ও আতিকুর রহমান সরকার বাবুকে ভুয়া জমির অংশীদার বানিয়ে মুন্সিগঞ্জ আদালতে মসজিদ কমিটিকে না জানিয়ে মালিকানা দাবি করে মামলা করেন।

পরে মসজিদ কমিটি জানতে পেরে পাল্টা মামলা করে। জমিটি এখনো মসজিদ কমিটি ভোগ-দখল করে আসছে। জমিতে মসজিদ কমিটি মামলার নম্বর সংবলিত বিভিন্ন তথ্যাদি লিখে সাইনবোর্ড দিয়ে রাখে। কিন্তু গত ২২ আগস্ট  রাতের অন্ধকারে ফরিদ সরকার ও সহযোগীরা সরিয়ে সাইনবোর্ড নিয়ে যান। মামলা চলা অবস্থায় ফরিদ সরকার জমিটি বিক্রির ব্যবস্থা করেছেন। মসজিদ কমিটির সভাপতি সাংবাদিক শামসুজ্জামান পনিরের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা জমি বিক্রির প্রতিবাদে মিটিং-মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন।

এদিকে ফরিদ সরকার মুন্সিগঞ্জ আমলি আদালতে মসজিদ কমিটির সভাপতি শামসুজ্জামান পনিরসহ ১৩ জনকে আসামি করে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে সিরাজদিখান থানার ওসিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন। 

ব.ম‌ শামীম/আরএআর