আনিসুর রহমান সুজা

শেরপুরে উত্তরাধিকার সনদ জালিয়াতির মামলায় আনিসুর রহমান সুজা (৫০) নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে শেরপুর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরিফুল ইসলাম খান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

আনিসুর রহমান সুজা শেরপুরের নকলা উপজেলার ২ নম্বর নকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নকলা উপজেলার ধনাকুশা গ্রামের আশরাফ আলী ২ ছেলে ও ৫ মেয়েসহ ৭ সন্তানের জনক। আশরাফ আলী ২০০০ সালে মারা যাওয়ার পর তার সন্তানেরা ২০১৩ সালের ২৬ জুন নকলা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান সুজা স্বাক্ষরিত উত্তরাধিকার সনদ উত্তোলন করেন। এতে আশরাফ আলীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমসহ ৭ ছেলে-মেয়ে যথাক্রমে মো. নাজমুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর আলম, আসমা খাতুন, রোখসানা বেগম, মনোয়ারা বেগম, কামরুন্নাহার পারভীন ও শামছুন্নাহার শিল্পীর নাম সঠিকভাবে উত্তরাধিকার হিসেবে দেখানো হয়। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজসে ৯২ শতাংশ পৈতৃক সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ২০১৯ সালের ১ জুলাই নতুন করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া উত্তরাধিকার সনদপত্রে শুধুমাত্র আশরাফ আলীর স্ত্রী মৃত নুরজাহান বেগম, ১ ছেলে মো. নাজমুল আলম ও ১ মেয়ে মোছা. কামরুন নাহারকে উত্তরাধিকার হিসেবে দেখানো হয়।

এরপর ওই ঘটনায় আশরাফ আলীর আরেক মেয়ে শামছুন্নাহার বাদী হয়ে আমলি আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান সুজা, মোছা. কামরুন্নাহার ও নাজমুল আলমকে আসামি করে একটি নালিশি মামলা করেন। এই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান সুজা ও নাজমুল আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী আলমগীর কিবরিয়া কামরুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, নকলার একটি জালিয়াতি মামলায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও অপর আসামি নাজমুল ইসলামকে দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত ন্যায়বিচারের স্বার্থে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এটি প্রকৃত জালিয়াতি মামলা। 

জাহিদুল খান সৌরভ/আরএআর